|
|
|
|
ডেবরা-কাণ্ডে প্রতিরোধের ডাক তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
দলের নেতাদের উপর হামলার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানাল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে ডেবরার লোয়াদা এলাকার কাঁকড়ায় সভা করে এমনই বার্তা দিয়েছেন শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পোড়ানো ও মিছিলে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে তেতে রয়েছে লোয়াদা। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএম নেতা-কর্মীদের। এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ৪৪।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ ডিসেম্বর। সেই রাতে ডেবরা ব্লকের লোয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবাজিত গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস সিপিএমের লোকজন পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ৬ তারিখ দুপুরে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিল চকবাজিত ছাড়িয়ে গোটগেড়িয়া গ্রামে ঢুকতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জখম তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বিবেক মুখোপাধ্যায় এখনও কলকাতায় চিকিৎসাধীন। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরাও। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরে এলাকায় গিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও। পুলিশ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সুয়ো-মোটো মামলা রুজু করে। তৃণমূলের তরফে পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই রাতেই গ্রেফতার হন সিপিএমের ডেবরা জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল-সহ দলের ১৫ জন নেতা-কর্মী। বাদ যাননি মহিলারাও। মঙ্গলবার গ্রেফতার হন সিপিএমের লোয়াদা লোকাল কমিটির সম্পাদক রবীন দত্ত ও তাঁর দাদা দেবেন দত্ত। এ দিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে রবীনবাবুকে ৪ দিন ও দেবেনবাবুকে ৩ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক। ধৃত ১২ জন মহিলা-সহ ১৭ জনকে এ দিন ফের আদালতে হাজির করা হলে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কাঁকড়ায় সভা ডেকেছিল ব্লক তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন, জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ, নির্মল ঘোষ, ব্লক সভাপতি রতন দে, স্থানীয় বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি প্রমুখ। এ দিন সভার শুরু থেকেই সিপিএমের প্রতি আক্রমণাত্বক ছিলেন তৃণমূল নেতারা। দীনেনবাবু বলেন, “সিপিএমের বিরুদ্ধে জমমত গড়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাঁরা সিপিএমের সঙ্গে এখনও রয়েছেন, তাঁরা ওই সন্ত্রাসবাদী দলকে ছেড়ে দিন। কিছুদিন পরে সবাই ওঁদের প্রত্যাখ্যান করবেন।” আগামী ২১ ডিসেম্বর জেলার প্রতিটি ব্লকে পদযাত্রা ও পথসভা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ দিনের সভায় এলাকার কয়েকজন সিপিএম নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। এর মধ্যে আছেন নরহরিপুরের শাখা সম্পাদক লক্ষ্মণ মাহালি-সহ ৭২ জন সিপিএম কর্মী। তৃণমূল ব্লক সভাপতি রতন দে বলেন, “সিপিএম এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। গণতান্ত্রিক পদ্ধাতিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
দাবিপত্র। দ্বিতীয় বর্ষেও সা্প্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হল ডিএসও। বুধবার সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন ডিএসওর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সিদ্ধার্থশঙ্কর ঘাটা। সংগঠনের বক্তব্য, গত বছর প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পাশ পেপারে সা্প্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু, দ্বিতীয় বর্ষের ক্ষেত্রে সা্প্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালু হয়নি। ফলে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়েন। অথচ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ক্ষেত্রেও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। অবিলম্বে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানায় ডিএসও। দাবিপূরণ না-হলে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ছাত্র সংগঠন। |
|
|
|
|
|