ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখে গ্রাহকদের হুড়োহুড়িতে দরজার কাছে দাঁড়ানো রক্ষীর হাত থেকে বন্দুক পড়ে গিয়েছিল। তা থেকে গুলি ছিটকে জখম হলেন দুই মহিলা-সহ চার গ্রাহক। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা অফিসে। অরবিন্দ রায় নামে ওই রক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি প্রাক্তন সেনাকর্মী। বাড়ি টিটাগড়ের বীরনগরে। বছর দেড়েক ধরে এই ব্যাঙ্কে কর্মরত অরবিন্দবাবু।
প্রশাসন ও ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ টিফিনের সময় শেষ হতেই তাড়াহুড়ো করে বেশ কিছু গ্রাহক ব্যাঙ্কে ঢুকছিলেন। তখনই বন্দুক মাটিতে পড়ে গিয়ে গুলি ছিটকে বেরোয়। আতঙ্কিত গ্রাহকেরা ছোটাছুটি শুরু করেন। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
পুলিশ এবং ব্যাঙ্ককর্মীরা আহত গ্রাহকদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অমিতাভ বর্মা বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।” |
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানান, চাঁপদানির বাসিন্দা মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এ দিন তাঁর মাসিমা নুরজাহান বিবিকে নিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে তেলেনিপাড়ার ওই ব্যাঙ্কে এসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াসিম আখতার আনসারি তাঁর বৌদি কামারুন্নিসা বিবিকে নিয়ে টাকা তুলতে ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই চার জনের পায়ে গুলি লেগেছে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অজয় কাজুরি বলেন, “কিছুটা অসাবধানেই আমাদের প্রহরীর বন্দুক পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি।”
ধৃত ৩। এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্থলগ্নি সংস্থার তিন কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে দু’টি কম্পিউটার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন কর্মীর নাম কমল সিংহ, সুভাষ ঘোষ এবং সন্দীপ সাহা। কমলের বাড়ি গোঘাটের শ্যামপুরে, সুভাষের বাড়ি আরামবাগের কাপসিটে এবং সন্দীপের বাড়ি তারকেশ্বরের বালিগোরিতে। জামিরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক এ দিন সকালেই আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালায় পুলিশ। |