|
|
|
|
সমদূরত্ব রেখেই চলতে চান মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রবল কংগ্রেস-বিরোধী হাওয়ায় ভর করে আসন্ন লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দলগুলি বেশ কিছু দূর এগোতে পারবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর তিনি আঞ্চলিক জোটের কথা ভাবছেন। দু’দিন ধরে রাজধানীতে অন্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আপাতত কংগ্রেস বা বিজেপি-দু’টি বড় জাতীয় দলের সঙ্গেই সমদূরত্ব রেখে চলতে চান তিনি।
দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মমতা। গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে একটি সেতু রচনা করতে চান দলনেত্রী। দ্বিতীয় ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসার পরে এই ধাঁচের একটি ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন মমতা। মাঝে সেই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকে গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে ফের আলোচনা শুরু করেছেন তিনি। তবে জোট প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়েছে এমনটা মানতে রাজি নন খোদ মমতাই। ভোটের পর কে কেমন আসন পাবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে বলে মানছেন তিনিই। মমতার কথায়, “বাচ্চা জন্মানোর আগেই কি তার নাম ঠিক করাটা উচিত?”
আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের নীতিকে ফের তুলোধোনা করেন মমতা। মমতার কথায়, “দুর্নীতির পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধিও কংগ্রেসের হারের অন্যতম একটি কারণ।”
চার রাজ্যে বিজেপির ভাল ফলের পিছনে নরেন্দ্র মোদীর ম্যাজিক নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে নানা শিবিরে। মমতার বক্তব্য, “বিধানসভা নির্বাচন কোনও ব্যক্তি বা নেতাকে দেখে হয়নি। বরং কংগ্রেসের দুর্নীতি ও জনবিরোধী নীতিতে ক্রুদ্ধ মানুষ কংগ্রেসের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।” একই সঙ্গে মমতার ব্যাখ্যা, চার রাজ্যের মধ্যেই তিনটি রাজ্যে কোনও আঞ্চলিক দল ছিল না। ফলে গোটা লড়াইটি ছিল সরাসরি কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তাই কংগ্রেস বিরোধী অধিকাংশ ভোট গিয়েছে বিজেপির ঘরে। কিন্তু দিল্লির মতো রাজ্যে যেখানে তৃতীয় শক্তি ছিল সেখানে কংগ্রেস বিরোধী ভোট বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে। মমতার দাবি, লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দলগুলির ঝুলিতে যাবে বিরোধী ভোট। |
|
|
|
|
|