টুকরো খবর
ডিম পচিয়ে হাজতে তিন হিমঘর কর্মী
ডিম পচানোর দায়ে হিমঘরের তিন কর্মীর ঠাঁই হল শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা মঙ্গলকোটের কাশেমনগরের কৃষক কল্যাণ সমবায় সমিতি পরিচালিত হিমঘরের কর্মী। তাঁদের নাম বাসুদেব ঘোষ, সুব্রত দাস ও সুভাষ ঘোষ। বুধবার ধৃতদের কাটোয়ার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ওই হিমঘরে ৭৯৭৮ কার্টুন ডিম রেখেছিল বর্ধমান শহরের একটি সংস্থা। প্রতি কার্টুনে ২১৬টি করে ডিম ছিল। কিন্তু সেই ডিমগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এরফলে তাঁদের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ সংস্থার অন্যতম অংশীদার শেখ সোরাব আলি। তিনি জানান, কাশেমবাজার কৃষ ক কল্যাণ সমবায় হিমঘরের কর্মীরা বর্ধমানে তাঁর সংস্থায় গিয়ে জানায়, ওই হিমঘরটি বহুজাতিক। এরপর তাঁদের কথা বিশ্বাস করে ২০১০ সালের ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ওই হিমঘরে ৭৯৭৮ কার্টুন ডিম রাখেন তাঁরা। এরপর ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০৭১ কার্টুন ডিম বের করে দেখেন সেগুলি পচে গিয়েছে। এরপর তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হিমঘরটি বহুজাতিক নয়। সেখানে শুধুমাত্র আলু রাখার অনুমতি রয়েছে। সোরাব আলির দাবি, বাকি ডিমগুলি হিমঘর থেকে বের করার আগেই পচে যায়। তখন হিমঘর কর্তৃপক্ষ কাশেমবাজারের একটি জায়গাতে গর্ত করে পচা ডিমগুলি ফেলে বুজিয়ে দেয়। এরপর তিনি বর্ধমান জেলা আদালতে ওই হিমঘরের ৬ জন কর্মীর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণা’র অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের মধ্যেই তিনজনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছিল। সে কারণেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সময় লাগলো। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত মহিলা
ভিন রাজ্য থেকে কিশোরীকে অপহরণ করে এনে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আনোয়ারা বিবি। বুধবার তাকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ জানায়, একসময় বর্ধমান শহরের মালির বাগান এলাকায় থাকতেন ওই মহিলা। পরে সেখান থেকে মীরছোবা সুকান্তনগরে বাড়ি ভাড়া নেন। ওই বাড়িতেই তিনি নিজে ও ওই কিশোরীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতেন বলে অভিযোগ। এলাকারই এক যুবক দেবাশিস মণ্ডল ওই অভিযোগ করেন বলে বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। দেবাশিসবাবু পুলিশকে জানান, বিহারের পুনারি জেলার কেশওয়াড়ি গ্রামের ওই কিশোরীকে ভাল ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বর্ধমানে নিয়ে আসেন আনোয়ারা বিবি। কিশোরীকে দেখে এলাকার নয় মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দেবাশিসবাবু। তখনই সে তাকে অপহরণ ও জোর করে যৌন ব্যবসা করানোর কথা জানায়। এরপরেই পুলিশকে সমস্তটা জানান তিনি। পুলিশ জানায়, এ ধরণের অভিযোগে আগেও মালির বাগান থেকে আনোয়ারা বিবিকে উচ্ছেদ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যা শিক্ষা আদিত্য বলেন, “ওই কিশোরীকে রাধানগরের সরকারি হোমে আপাতত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ির লোকের খোঁজখবর করা হবে।”

মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সংঘর্ষ, কালনায় আহত সাত জন
খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সংঘর্ষ বাধল ও তৃণমূল ও সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর মধ্যে। বুধবার সকালে কালনা ২ ব্লকের অগ্রদহ গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় তৃণমূলের চারজন ও সিপিআইএমএল-এর (লিবারেশন) তিন কর্মী সমর্থক আহতও হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দু’পক্ষই। সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর দাবি, দৈনন্দিন প্রয়োজনের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মজুরিতে পোষাচ্ছে না। ফলে দলের তরফে মজুরি ১২৫ টাকা ও ২ কেজি চাল দাবি করেছেন তাঁরা। দাবি মেনে নিয়ে অনেক জমির মালিকই এ দিন খেতমজুরদের কাজেও লাগিয়েছেন। দলের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সলিল দত্তের অভিযোগ, “মজুরি বৃদ্ধির দাবি না মানতে চেয়ে স্থানীয় তৃণমূলের কিছু লোকজন গ্রামের তে-রাস্তার মোড়ে আমাদের সংগঠনের কালনা ২ লোকাল কমিটির সম্পাদক হাফিজুল রহমানকে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয় একটি চায়ের দোকানেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই মজুরেরা মাঠ থেকে এসে প্রতিবাদ করেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর কর্মীরাই পরিকল্পনামাফিক ঝামেলা পাকিয়েছে। তৃণমূল কর্মী মুসারফ গোসেন জানান, সপ্তাহখানেক আগে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে এলাকার চাষি ও খেতমদুরদের বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয় ১২০ টাকা ও ২ কেজি চাল দেওয়া হবে। এরপরেও ওরা চাপ তৈরি করে মজুরদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না।

ব্যাঙ্কের নির্দেশে হানা, দাবি বাউন্সারদের
পাওনা টাকা না পেয়ে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (ইউবিআই) অফিসারেরাই তাঁদের গ্রাহককে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন বর্ধমানে ধৃত বাউন্সার-দলের পাণ্ডা জিয়ারুল হক। একটি চিঠিও দেখিয়েছেন তিনি। কোন অফিসার বা অফিসারেরা দায়িত্ব দেন, তা জানার জন্য বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে জেরা করেছে। সোমবার বর্ধমান শহরে শেখ আকবর নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়েছিল বাউন্সারেরা। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জানিয়েছে, ইউবিআই-এর অনুমোদিত রিকভারি এজেন্ট ‘শ্যাম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট’-এর হয়ে তারা কাজ করছিল। সংস্থাটির অফিস বারাসতে। জিয়ারুল হক সেই সংস্থার প্রতিনিধি। ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ না দিলে এ ভাবেই ভয় দেখিয়ে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা হয় বলেও তারা জানায়। ধৃতেরা দাবি করে, ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছিল, তাদের কাছে জেলাশাসকের অনুমতি রয়েছে। পুলিশ সুপারকেও উচ্ছেদের বিষয়ে জানানো হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা থেকে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হয়। যদিও রাত পর্যন্ত সাত জনের কেউ মুখ খোলেনি। ইউবিআই-এর ‘রিকভারি এজেন্ট’ হিসেবে সংস্থাটিকে কতটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বাড়াবাড়ি করেছে কি না, ব্যাঙ্কের কর্তারা তার জবাব দেননি। তাদের দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কি না, ব্যাঙ্ক-কর্তারা সেই প্রশ্নও এড়িয়ে যান।

জমি নিয়ে বিবাদ
পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার কালনার পাতাইগাছি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম কানাই চক্রবর্তী (৪৫)। গুরুতর জখম হয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি কানাইবাবুর ভাই বলাই চক্রবর্তীও। পুলিশ জানায়, এ দিন কানাইবাবু জমিতে বীজতলা তৈরির জন্য খেতমজুর পাঠান। সে ফিরে জানায়, তাকে কাজে বাধা দিচ্ছে কানাইবাবুর এক দাদা সুকুমারবাবু ও তার দুই ছেলে। কানাইবাবু ভাই বলাইবাবুকে নিয়ে মাঠে যান। সেখানে দু’তরফের মধ্যে বচসা বাধে। মারামারিও হয় বলে অভিযোগ। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বলাইবাবুর দাবি, “মাঠে মেজদা ও তার দুই ছেলে আমায় ও দাদাকে কোদালের বাঁট ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে।” তিনি জানান, বাবা-মা জমি আমাদের দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও মেজদা সম্পত্তি দাবি করে আসছে। খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ।

মন্দিরে চুরি
মন্দিরের তালা ভেঙে দেবীর গহনা, প্রণামী বাক্সের টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে মঙ্গলকোটের নিগণ গ্রামের পূর্ব পাড়ার কালী মন্দিরে ঘটনাটি ঘটে। বুধবার ভোরে মন্দির পরিস্কার করতে এসে বিষয়টি নজরে আসে মন্দিরের পুরোহিতের স্ত্রী স্বপ্না চক্রবর্তীর। পুলিশের অনুমান, ওই দুষ্কৃতীরা দলে ৫-৬ জন ছিল। মন্দিরের দরজার তালা খারাপ থাকায় ভিতরে ঢুকে লুঠ করে তারা। কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শুরু বইমেলা
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কাটোয়ার কেডিআই ময়দানে শুরু হচ্ছে বইমেলা। চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২২তম এই মেলার উদ্বোধন করবেন সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার। প্রায় ৫০টি স্টল থাকবে। বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজই নানারকম আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.