পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার সকালে কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের পাতাইগাছি গ্রামের ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম কানাই চক্রবর্তী (৪৫)। গুরুতর জখম হয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি কানাইবাবুর ভাই বলাই চক্রবর্তীও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাইবাবুরা চার ভাই। তার মধ্যে বড় ভাই সুভাষবাবু দীর্ঘ দিন ধরে কালনা শহরের বাসিন্দা। বাকিরা থাকতেন গ্রামে। বছর পাঁচেক আগে কানাইবাবুর বাবা দুলাল চক্রবর্তী জমিজমা তিন ছেলে, স্ত্রী ও নিজের মধ্যে ভাগ করে নেন। ছেলেরা প্রায় ১৩ বিঘা করে জমি পায়। বছর দেড়েক আগে দুলালবাবু তার নামে থাকা ৬ বিঘা জমিও কানাইবাবু ও বলাইবাবুর নামে লিখে দেন। এর কিছু দিন পরেই মারা যান তিনি। পরে তাঁর স্ত্রীও নিজের নামে থাকা জমি ওই দুই ছেলেকেই দিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাবা-মায়ের সম্পত্তি না পওয়ায় মেজো ছেলে সুকুমারের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা, মামলা-মোকদ্দমাও হয়।
এ দিন সকালে কানাইবাবু জমিতে বীজতলা তৈরির জন্য খেতমজুর পাঠান। সে ফিরে জানায়, তাকে কাজে বাধা দিচ্ছে সুকুমারবাবু ও তার দুই ছেলে পাপাই ও বুবাই। কানাইবাবু সঙ্গেসঙ্গে ভাই বলাইবাবুকে নিয়ে মাঠে যান। সেখানে দু’তরফের মধ্যে বচসা বাধে। পরে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিও হয় বলে অভিযোগ। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বলাইবাবুর দাবি, “মাঠে মেজদা ও তার দুই ছেলে আমায় ও দাদাকে কোদালের বাঁট ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে। দু’জনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। কানাইদার মাথায় আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই দাদার মৃত্যু হয়।” তিনি জানান, বাবা-মা রেজিস্ট্রি করে জমি আমাদের দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরেই মেজদা সম্পত্তি দাবি করে আসছে। খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। |