দুই দফায় কেএলও র নাম করে এক তামাক এবং সারের ব্যবসায়ীর কাছে ২৫ লক্ষ টাকা দাবির ঘটনায় দিনহাটায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দুই দিন দিনহাটার চওড়াহাট এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর মোবাইলে টেলিফোন করে টাকা দাবি করে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার তিনি দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় দিনহাটার ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগে তুফানগঞ্জের এক শিক্ষাবিদের কাছে একই ভাবে কেএলও নেতার বপলে টেলিফোন করে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তের মধ্যে ফের দিনহাটার ওই ব্যবসায়ীকে টেলিফোনের ঘটনাটি ঘটল। এমন কী, দাবিমত টাকা না দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলেও ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই ব্যবসায়ীকে প্রথমবার ফোন করা হয়। নিজেকে কেএলও নেতা দয়াল রাজবংশী পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে হুমকি দেন। প্রথম দিন ওই ব্যবসায়ী বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও মঙ্গলবার ফের একই ভাবে তার কাছে কোচবিহারে গিয়ে টাকা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রের খবর, আরও দুই ব্যবসায়ীর কাছেও টাকা দাবি করা হয়েছে। তবে বিষয়গুলি এখনও পুলিশ অবধি গড়ায়নি। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখতে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছি।” এই দিনই রহস্যজনক ভাবে আরেক তামাক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে দিনহাটা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যবসায়ীর নাম আবদুল বারেক। তার বাড়ি দিনহাটার গোসানিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাটাবাড়ি এলাকায়। গত ১ ডিসেম্বর আবদুল বারেক একাই অসমের গোয়ালপাড়ায় ব্যবসার কাজের যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বার হন। তার পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ জিল জালাল জানিয়েছেন, গত বুধবার অসম থেকে ফেরার বাসে উঠেছেন বলে ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে ফোন করেছিলেন। তার পর থেকে তাঁর আর হদিশ নেই। অপহরণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। |