বোরো চাষের এলাকা বাড়াচ্ছে কৃষি দফতর
রিফ চাষের ক্ষতিপূরণে এ বার বোরো চাষের এলাকা বাড়াচ্ছে রাজ্য কৃষি দফতর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত খরিফ মরসুমে ধান-সহ অন্য চাষ প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ক্ষতিপূরণের জন্যই এ বার বোরে চাষের এলাকা বাড়ানো হচ্ছে বলে মঙ্গলবার কৃষি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন। এ দিন নবান্নে কৃষি-কর্তারা জানান, গত বছর গোটা রাজ্যে ১২ লক্ষ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। এ বার ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের পরিকল্পনা হয়েছে। এ ছাড়াও এ বার বোরো মরসুমে সুন্দরবনের সাগরদ্বীপে নোনাজল সহনের ক্ষমতা সম্পন্ন (সল্ট টলারেন্ট) ধান চাষ শুরু করা হচ্ছে।
রাজ্য কৃষি দফতরের কর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে বোরো চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল সেচ। মূলত, নোনা জলের কারণেই বোরো চাষ মার খাচ্ছিল। এ বার ওই সমস্যা দূর হবে বলে দাবি করে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “কৃষি গবেষকেরা রাজ্যের খামারেই এ বার নোনাজল সহন ক্ষমতা সম্পন্ন ধানের বীজ তৈরি করেছেন। সাগরদ্বীপে এ বার বোরো চাষে ওই বীজ ব্যবহার হচ্ছে।” এই ঘটনাকে এ রাজ্যে ধান চাষের ক্ষেত্রে একটি বড় মাপের সাফল্য বলে দাবি করছে কৃষি দফতর।
রাজ্যের কৃষিসচিব সুব্রত বিশ্বাস জানান, এ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগে চারটি জেলার খরিফ চাষ প্রচণ্ড মার খেয়েছে। ঝড়-জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খরিফ চাষ। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মার খেয়েছে হাওড়া ও বাঁকুড়া জেলার বেশ কিছু অঞ্চলের খরিফ চাষ। কৃষি দফতরের হিসেব অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওই চার জেলার প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোরো চাষের এলাকা বৃদ্ধি করে খরিফ চাষের ক্ষতিপূরণের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব।
বোরো চাষ মূলত শুখা মরসুমের। সেচ ব্যবস্থার উপরেই এই চাষের সাফল্য নির্ভর করে। কৃষি দফতরের মতে, বোরো চাষের এলাকা বৃদ্ধির পূর্ব শর্ত সেচ সুনিশ্চিত করা। এই কথা মাথায় রেখে এ দিন কৃষিসচিব দাবি করেন, নতুন করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এক লক্ষ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি, ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পে অনেক পুকুর ও খাল কাটা হয়েছে। এ ছাড়াও সেচের জন্য কৃষি এলাকায় বসানো হয়েছে প্রচুর সংখ্যক নলকূপ। সেচের পাম্প চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহেরও সুষ্ঠু ব্যবস্থা হয়েছে।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় হুমকি। মোবাইল ফোনে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশে এমনই অভিযোগ করলেন সন্দেশখালি-২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা অনিমা দাস। সন্দেশখালি থানার ওসি সুরিন্দার সিংহ বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.