শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনারের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী মহারুখ আদেন ওয়ালিয়া। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারের যোগ দিতে মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুম্বইয়ের এই মানবাধিকার কর্মী। এদিন সংসদে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহারুখ বলেন, “অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে তা জানি না। তবে গুরুতর অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন মনে করি যত দিন না অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়, তত দিন ওঁর পদ থেকে সরে যাওয়াই উচিত।” |
মানবাধিকার কর্মী মহারুখ আদেনওয়ালিয়া।—নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অশোকবাবুকে অপসারণের দাবিতে রাজ্যের শাসক দলের সরব হওয়ার প্রসঙ্গে অবশ্য মহারুখ আদেনওয়ালিয়া কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে রাজ্য সরকারের প্রসঙ্গে বলেন, “অন্য সব সরকারের মতো রাজ্য সরকারও ব্যতিক্রম নয়। সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সব স্বরকে তারা মাওবাদী বা অন্য কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে দমিয়ে দেয়। এটাই শাসকের ধর্ম।” তিনি বলেন, “রাজ্য থেকে শুরু করে দেশ সর্বত্রই গণতন্ত্র লঙ্ঘিত হয়। সরকারি কর্মীদের বক্তব্যও যদিও সরকারের সুরের সঙ্গে না মেলে, তার বিরুদ্ধেও দমনমূলক আচরণ করা হয়।”
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি তথা এপিডিএর-এর শিলিগুড়ি শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেমিনারে সুজাত ভদ্রের থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। এপিডিআর সদস্যরা মোবাইলে তাঁকে ধরেন। কলকাতা থেকে সুজাত ভদ্রের বক্তব্য সেমিনারে শোনানো হয়। সুজাতবাবুর মতোই শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনী হলে মুম্বইয়ের মানবাধিকার কর্মী মাহুরুখও মৃতুদণ্ডকে সরকারের একটি দমন-পীড়নের অস্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, “অনেক অন্ধকারের মধ্যে একটাই আশার কথা, সরকারের নানা দমন-পীড়ন, অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। সকলেই একটা পরিবর্তন চাইছেন। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সাফল্য সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে।” এ দিনের সেমিনারে এপিডিআর-এর শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক অভিরঞ্জন ভাদুড়িও উপস্থিত ছিলেন। |