স্বামীর প্রেমিকাকে বিবস্ত্র করে চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের পাতিলাচন্দ্র গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে পাতিলাচন্দ্র গ্রামের মহিদুল গাজির সঙ্গে বিয়ে হয় জাহানারা বিবির। তাঁদের তিন সন্তান। তবে বিয়ের আগে গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহিদুলের। তিনিও পরে অন্যত্র বিয়ে করেন। কিন্তু মহিদুলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থেকে গিয়েছিল। গ্রাম্য সালিশি বসিয়ে মিটমাটের চেষ্টা হলেও দু’জনের মেলামেশা কমেনি।
দিন পনেরো আগে বাড়ি ছাড়েন মহিদুল। তাঁর প্রেমিকাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের লোকের সন্দেহ ছিল, দু’জনে এক সঙ্গেই চলে গিয়েছেন। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া গ্রামে একটি ইটভাটায় হাজির হন জাহানারা। সেখানে স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকাকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। বিকেলের দিকে দু’জনকে ধরে এনে শুরু হয় গণধোলাই। পরে একটি ঘরে দু’জনকে বেঁধে রাখা হয়। ঠিক হয়, সকালে খবর দেওয়া হবে পুলিশকে।
এ দিকে, মঙ্গলবার সকালে জাহানারা এসে দেখেন পালিয়েছেন স্বামী। তাতে রাগ গিয়ে পড়ে স্বামীর প্রেমিকার উপরেই। জাহানারা তাঁর চুল কেটে নেন বলে অভিযোগ। জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে গ্রামে ঘোরানো হয় বলেও মহিদুলের প্রেমিকার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জাহানারা বলেন, “আমাদের তিন সন্তান আছে জেনেও আমার স্বামীকে নিয়ে পালিয়েছিল ওই মহিলা। ওকে উচিত শিক্ষা দিতেই চুল কেটে দিয়েছি।” তবে মহিলাকে বিবস্ত্র করার অভিযোগ মানেননি গ্রামের কেউ। অন্য দিকে, মহিদুলের প্রেমিকার বক্তব্য, “কী করব বলুন, ওকে ছোট্টর থেকে ভালবাসি।”
কিন্তু যাকে ভালবাসেন তিনি, সেই মহিদুল অবশ্য প্রেমিকার খোঁজ-খবর না করেই পালিয়ে বেঁচেছেন।
|