সামনেই কলেজ নির্বাচন। তার আগে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মারপিটের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে। বহরমপুর থানার আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা নিয়ে এ দিন উত্তেজনা হয় কলেজে। ঘটনায় কেউ জখম হয়নি। দু’পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে।”
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা অধ্যক্ষ সোমেশ রায়ের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ছাত্র পরিষদের বহিরাগতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বিক্ষোভ দেখিয়ে বেরিয়ে আসার পরই মারামারি শুরু হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের।
ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সরফরাজ রুবেল শেখ বলেন, “গত দু’ বছর ধরে ছাত্র সংসদ আমাদের দখলে রয়েছে। কোনও অশান্তি হয়নি। এখন ভোটের মুখে তৃণমূলের বহিরাগতরা কলেজের মধ্যে ঢুকে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভপতি শামিম শেখ বলেন, “ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। এ দিন আমাদের সমর্থকরা প্রতিবাদ করতেই ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা মারধর শুরু করে।”
নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০১৪ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ, বুধবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ওই নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে কলেজ অধ্যক্ষ থেকে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। এই অবস্থায় দু’পক্ষই শক্তি প্রদর্শন করতে এ দিন মারপিটে জড়িয়েছে বলে রাজনৈতিক কারবারিদের মত।
কলেজের অধ্যক্ষ সোমেশ রায় বলেন, “প্রয়োজন হলে বহিরাগত ছাত্ররা খাতায় লিখে কলেজে ঢুকতে পারে। ছাত্র সংঘর্ষের কথা ভেবে ১০ দিন আগে থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। নির্বাচনের মুখে ছাত্র সংঘর্ষ হতে শুরু করলে কলেজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হব।” |