|
|
|
|
নন্দীগ্রাম-মামলায় পিছোল চার্জগঠন
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় চার্জগঠনের দিন পিছিয়ে গেল।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে চার্জগঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষের একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতেই সময় গড়িয়ে যায়। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই শুনানির রায় দেবেন জেলা ও দায়রা বিচারক মধুমতী মিত্র। তারপরই চার্জগঠন হবে বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মোহিত।
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত ৮৮ জনের মধ্যে জামিনে থাকা ৬৬ জন ও জেল হেফাজতে থাকা ৫ জন মিলিয়ে মোট ৭১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। সেই মতো এ দিন জেল হেফাজতে থাকা সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ জামিনে থাকা ৬৬ জনের মধ্যে ৬২ জন হাজির ছিলেন। দু’জন শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির হতে পারেননি বলে আদালতে জানানো হয়। এদের মধ্যে এক জন জেলা হাসপাতালে ভর্তি। জেলা ও দায়রা বিচারক অসুস্থ দু’জনের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর বাকি দু’জন অনুপস্থিত অভিযুক্তকে পরবর্তী শুনানির দিন উপস্থিত থাকতে বলেন। |
তমলুক জেলা আদালতে সুকুর আলি ও তপন ঘোষ। |
চার্জগঠন না হলেও অভিযুক্তদের একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে জেলা আদালতে শুনানি হয়। যেমন, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী গৌতম চৌধুরী বলেন, “নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বরের ঘটনায় মৃতদেহ পাচারে জড়িত দাবি করে চার জনের আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সিআইডি। ওই চার জনের মধ্যে শক্তিপদ দলপতিকে অভিযুক্ত হিসেবে সিআইডি চার্জশিট দিয়েছে। বাকি যে তিন জন ওই মৃতদেহ খেজুরির জননী ইটভাটা থেকে নিয়ে গিয়ে নদী বা সাগরে ফেলার সঙ্গে জড়িত বলে সিআইডি’র তরফে দাবি করা হয়েছে সেই উত্তম বর, মদন বর ও মানিকলাল দাসকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।” একই ঘটনায় শক্তিপদ দলপতি কি ভাবে অভিযুক্ত হলেন আর বাকি তিন জন সাক্ষী হলেন, তা বিবেচনার জন্য জেলা বিচারকের কাছে আবেদন করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মোহিত অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, “মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় শক্তিপদ দলপতি অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। অন্য দিকে নৌকা চালক উত্তম বর, মদন বর ও মানিকলাল দাসকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে মৃতদেহ বহনের কাজে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে চার জনকে একই ভাবে দেখা ঠিক হবে না। নির্দিষ্ট ভাবে তদন্ত করেই ওই তিন জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।” মামলার বিচারপর্ব দ্রুত শুরুর জন্য এ দিন জেলা আদালতে সওয়াল করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জেলা ও দায়রা বিচারক অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ২০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির থাকতে বলেন। |
পুরনো খবর: নন্দীগ্রাম-মামলায় চার্জশিটের সম্মতি মেলেনি দু’মাসেও |
|
|
|
|
|