প্রথম দু’টো ওয়ান ডে-তে দুটো সেঞ্চুরি। দু’টোতেই ওপেনিং জুটিতে দেড়শোর উপর রান। বোলিংয়ে যদি ডেল স্টেইনের আগুনে পেস ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকে, তা হলে ভারতীয় বোলারদের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন কুড়ি বছরের তরুণ উইকেটকিপার-ওপেনার কুইন্টন ডি’কক। তবু ভারতের বিরুদ্ধে দু’ টেস্টের সিরিজে দলে জায়গা হয়নি তাঁর।
তাতে অবশ্য অবাক হচ্ছেন না হাইভেল্ড লায়ন্স টিমে কুইন্টনের কোচ জিওফ্রে টয়ানা। বরং বলছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা এই মুহূর্তে টেস্টে এক নম্বর দল। ওরা ধারাবাহিক ভাবে একটা টিম ধরে রাখছে। আর কুইন্টনের কিছুটা অভিজ্ঞতা দরকার। দেখবেন, ওর ২২ বছর বয়স হতে না হতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠবে। এটাও মিলিয়ে নেবেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের কিংবদন্তি হয়ে উঠবে কুইন্টন।”
তাঁর ছাত্র নিয়ে কোচের আরও বক্তব্য, “কুইন্টনের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্পিনারদের সামলানো। সেই অভিজ্ঞতাটা হয়ে যাওয়ার পর ও ক্রমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে ব্যাট করাটা তো ওর পক্ষে বেশ সহজ। বাউন্স আছে, বলটাও ভাল ব্যাটে আসে। ফলে স্ট্রোক খেলাটা সহজ।”
কিন্তু কাল কি সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পাবেন কুইন্টন? মঙ্গলবার গোটা দিন এখানে বৃষ্টি চলছে। সুপার স্পোর্টস পার্কের পিচ, আউটফিল্ড কভারে ঢাকা। বুধবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে আশার কথা একটাই, বৃষ্টি থামলে খুব তাড়াতাড়ি মাঠ খেলার অবস্থায় চলে আসবে।
গ্রেম স্মিথকে আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। জাক কালিসকেও টেস্টের জন্য তৈরি হতে বলা হল। কেউ কেউ মনে করছেন, কাল হয়তো স্টেইন বা মর্নি মর্কেলের মধ্যে একজনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
ভারতীয় টিম এ দিন ইন্ডোরেই প্র্যাকটিস করল। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রোহিত শর্মা স্বীকার করে নিলেন, “এই সিরিজে নিয়মিত উইকেট হারানোয় আমরা সম্যসায় পড়েছি। আমাদের পার্টনারশিপ দরকার। অন্তত একটা একশো রানের আর গোটা দুই পঞ্চাশ রানের।” |