জেলাশাসকের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনি ইটভাটা চালানোর অভিযোগ উঠল কাটোয়ার বড়কুলকাছি গ্রামে।
ইতিমধ্যেই ওই ইটভাটা বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বড়কুলগাছি গ্রাম ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে মহকুমাশাসক (কাটোয়া), মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, কাটোয়া ২ ব্লকের বিডিও, এবং কাটোয়া ২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে (বিএলএলআরও)।
আন্দোলনরত পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্ট জেলাশাসককে বড়কুলগাছি গ্রামের বেআইনি ইটভাটাটি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে বলে। এরপর ১৯ মার্চ বর্ধমানের তৎকালীন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা ওই ইটভাটাটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেটি। কিন্তু এ বছর শীত পড়তেই ফের চালু হয়েছে ইটভাটাটি। আন্দোলনকারী জয়দেব বিশ্বাস, বিকাশ বিশ্বাস জানান, গত মরসুমে ওই ইটভাটা চালু থাকার জন্য গোটা এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে গিয়েছিল। গোটা এলাকা ভরে গিয়েছিল ছাইতে। তাঁদের আশঙ্কা, “আবার ওই ইটভাটা পুরোপুরি চালু হলে এলাকায় বসবাস করা মুশকিল হয়ে যাবে।”
সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এলাকার বাসিন্দারা ওই বেআইনি ইটভাটা বন্ধ করার দাবিতে পথে নামতেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।” প্রশাসন বেআইনি ইটভাটা বন্ধে পুনরায় উদ্যোগী না হলে কমিটি ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানান তিনি। বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অশোক কুমার সাহা বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বিএলএলআরওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তার পরেও যদি ওই ইটভাটা চলে তা হলে বিষয়টি পুলিশে জানানো হবে।” যদিও পুনরায় ভাটা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ইটভাটার অন্যতম অংশীদার অরবিন্দ মণ্ডল বলেন, “কে বা কারা চালাচ্ছে সেটা আমরা জানি না। আমরা চালাচ্ছি না এটুকু বলতে পারি।” তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য মত, একটি মাত্র ইটভাটা বন্ধ না করে, প্রশাসন সব বেআইনি ইটভাটা বন্ধের উদ্যোগ নিক। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, একটি ইটভাটা বন্ধ করতে গিয়েই যেখানে প্রশাসনকে নাজেহাল হতে হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে সমস্ত বেআইনি ইটভাটা বন্ধের আশা না করাই ভাল। |