সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের থাবায় জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বন দফতরের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা রেঞ্জের কলসদ্বীপের কাছে। বঙ্কিম ভক্তা নামে জখম ওই মৎস্যজীবীকে পাথরপ্রতিমা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমার সত্যদাসপুর গ্রামের আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের বঙ্কিমবাবু এবং তাঁর পরিবারের কয়েক জন-সহ মোট দশ জনের একটি দল সোমবার সকালে ভুটভুটি নিয়ে কলস দ্বীপের কাছের খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সপ্তাহখানেক পরে তাঁদের ফেরার কথা ছিল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দলটি খাঁড়ির পাড়ের গর্ত থেকে কাঁকড়া ধরা শুরু করে। বঙ্কিমবাবু ছিলেন পাহারার দায়িত্বে। তিনি জঙ্গলের দিকে লক্ষ্য রাখছিলেন। কিছুটা দূরে কাঁকড়া ধরছিলেন তাঁর স্ত্রী রাধারানি, ছেলে বিধান এবং ভাইপো প্রশান্ত ভক্ত-সহ অন্য মৎস্যজীবীরা। সেই সময়েই বাঘ বঙ্কিমবাবুর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্কিমবাবু ফড়ে যান। তাঁর চিৎকারে সকলে ছুটে এলে বাঘটি পালায়। সন্ধ্যা নাগাদ বঙ্কিমবাবুকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ দিন বঙ্কিমবাবু বলেন, “আমি জঙ্গল পাহারা দেওয়ার সময়ে একটা শব্দ পাচ্ছিলাম। এ দিক-ও দিক তাকানোর সময়েই আচমকা বাঘটি আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।” স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শুভদীপ রায় বলেন, “বাঘের থাবায় ওই মৎস্যজীবীর ডান চোখের নীচে এবং বাঁ কানের কাছে গভীর ক্ষত হয়েছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও লিপিকা রায় বলেন, “ওই মৎস্যজীবীর বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |