নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে র্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করলেন আর এক মহিলা চিকিৎসক। দু’জনেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। কাজ করেন একই ইউনিটে। অভিযোগকারিণী অর্পিতা দাস স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই কৃতী অগ্রবাল রয়েছেন দ্বিতীয় বর্ষে।
র্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়েরের আগে অবশ্য গত ৬ ডিসেম্বর ৮টি ঘুমের ওষুধ খান অর্পিতা। তখন তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরে অর্পিতা অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস ধরে কৃতী তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন যা র্যাগিংয়েরই নামান্তর। সোমবার বৌবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “মেডিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ হয়েছে। তাঁর নাম কৃতী অগ্রবাল। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।”
মেডিক্যালের ডিন অফ স্টুডেন্টস সুব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আমি অর্পিতা দাসকে চিনি না। এমন কোনও ঘটনা হয়েছে বলেও জানি না।” রাত পর্যন্ত ফোন তোলেননি মেডিক্যালের অধ্যক্ষ তপন লাহিড়ী। অভিযোগকারিণী মেডিক্যালের যে বিধুমুখী হস্টেলে থাকেন, তার প্রধান সুমিত্রা বসুঠাকুর শুধু বলেন, “সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান পার্থ মুখোপাধ্যায়, ত্বক বিভাগের প্রধান দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি বুধবার রিপোর্ট দেওয়া যাবে।” আর স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র সুমন বিশ্বাসের কথায়, “ঘটনাটিকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত চলছে।” |