|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডেও আসন হারাতে পারে কংগ্রেস, আশঙ্কায় জেএমএম |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি
১০ ডিসেম্বর |
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমতের ‘চোরাস্রোতে’ আশঙ্কায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ডে ওই দলের জোটসঙ্গী জেএমএম-এর একাংশ।
তা-ই লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার ‘সমীকরণ’ বদলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা।
দিল্লি-সহ চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিরোধী-হাওয়ায় ‘খড়কুটো’র মতো উড়ে গিয়েছে সনিয়া, রাহুলের দল। জেএমএম সূত্রের খবর, গতকাল দলীয় বৈঠকে শীর্ষনেতা শিবু সোরেনকে সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতেও তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়।
কংগ্রেসের সমর্থনেই ঝাড়খণ্ডে সরকার চালাচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা’র হেমন্ত সোরেন। রাজ্যে জোট সরকার গঠনের সময় দু’টি দলের সমঝোতা হয়েছিল, লোকসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডের ১৪টি আসনের মধ্যে দশটিতে লড়াই করবে কংগ্রেস। বাকি আসনে লড়বে জেএমএম। দু’পক্ষের নেতারাই তাতে সম্মত হয়েছিলেন।
কিন্তু চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটে জনতার ‘রায়’ দেখে মত বদলেছেন মোর্চা নেতৃত্বের একাংশ। রাজ্যে কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়া হলে তা পরোক্ষে ইউপিএ জোটের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। দলের পূর্ব সিংভূম জেলার সভাপতি রমেশ হাঁসদা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জামশেদপুর আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। আগে, ওই লোকসভা আসন জেএমএম-এর দখলে ছিল। পরে, বিজেপি-র অর্জুন মুণ্ডা সেটি জেতেন। মুণ্ডা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উপ-নির্বাচনে জামশেদপুর আসন ছিনিয়ে নেন ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার অজয় কুমার। হাঁসদার কথায়, “কংগ্রেসের এখন যা অবস্থা, তাতে যত বেশি আসন তাদের ছাড়া হবে, তত বেশি হারানোর আশঙ্কা থাকবে। তাতে আখেরে ইউপিএ-রই ক্ষতি। যে আসনে আমরা জিততে পারি, সেখানে আমাদেরই লড়াইয়ে নামা উচিত।”
ঝাড়খণ্ডে ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে বর্তমানে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে শুধুমাত্র রাঁচি আসনটি। জেএমএম-এর রয়েছে দুমকা, পলামু। ৭টি আসন দখলে রেখেছে বিজেপি।
কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ২৯ ডিসেম্বর রাঁচি পৌঁছচ্ছেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি ফের ভেবে দেখতে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে
অনুরোধ গিয়েছে। রাঁচির এক মোর্চা নেতার কথায়, “সাধারণ মানুষ কংগ্রেসকে বর্জন করেছেন। তা সাম্প্রতিক ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এটা না-বুঝলে প্রভাব আমাদের দলের উপরও পড়তে পারে।”
জেএমএম নেতৃত্ব এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, “রাজ্যবাসীর কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কংগ্রেস আমাদেরই জোটসঙ্গী। তা-ই, এই ফলে চিন্তার কিছু নেই। তা ছাড়া, লোকসভা ভোটেরও এখন অনেক দেরি রয়েছে।” |
|
|
|
|
|