|
|
|
|
আসন বণ্টনে দ্বিমত আরজেডি-এলজেপি |
স্বপন সরকার • পটনা
১০ ডিসেম্বর |
নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কবে হবে তার ইঙ্গিতও নেই। এর মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা তৈরি হল। আরজেডি শিবির মনে করছে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বার এলজেপিকে কম আসন দেওয়া উচিত। কারণ তাদের সংগঠন মজবুত নয়। ফলে আসন হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। অন্য দিকে, গত নির্বাচনে আরজেডি-র ‘পারফরমেন্স’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এলজেপি নেতাদের বক্ত ব্য, অন্তত ১২টি আসন না পেলে আরজেডি-এলজেপি জোট হবে না। একলা চলার নীতি নিয়ে চলবে দল।
এলজেপি-প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান আগেই জানিয়েছিলেন, আরজেডির সঙ্গে তাঁরা আসন সমঝোতায় যাবেন। লালু প্রসাদ জেলে যাওয়ার পরে তিনি লালু-পত্নী রাবড়ী দেবীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও যান। পরে তিনি রাঁচির জেলে গিয়ে লালু প্রসাদের সঙ্গেও দেখা করেন। সমঝোতার আবহই চলছিল। এর মধ্যেই ছন্দপতন। আরজেডির দীর্ঘ দিনের সাংসদ এবং দলের প্রথম সারির নেতা রঘুবংশ প্রসাদ বলেন, “গত বারের ফল ভাল হয়নি। আসন ভাগাভাগি হওয়ায় আরজেডির লড়ার ক্ষেত্রও কমে গিয়েছিল।” রঘুবংশ প্রসাদরা মনে করছেন, “এ বারের নির্বাচন সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে এ বার জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেতা লালু প্রসাদ এখন রাজনীতির ময়দানেও নেই। ফলে এখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। দেখা যাক।”
২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে এলজেপির ১২টি আসনের একটিতেও জিততে পারেনি। এমনকী হাজিপুর থেকে স্বয়ং রামবিলাসও হেরে যান। এলজেপি টিকিটে লড়তে নেমে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক প্রকাশ ঝা-ও পশ্চিম চম্পারণ থেকে হেরে যান। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আরজেডি মনে করছে, রামবিলাসদের বেশি আসন দিয়ে আসন নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। সমঝোতার স্বার্থে গোটা চারেক আসন তাদের দেওয়া যেতে পারে। এই যুক্তিতে গোঁসা করেছে এলজেপি নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|