|
|
|
|
শীলার তীব্র ক্ষোভ সঙ্গত বলেই মেনে নিচ্ছে দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১০ ডিসেম্বর |
দিল্লিতে বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি দলের বিরুদ্ধে কাল আঙুল তুলেছিলেন শীলা দীক্ষিত। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ আজ বললেন, “শীলা দীক্ষিতের অসন্তোষ সঙ্গত। এ ব্যাপারে দল কোনও মন্তব্য করবে না।” পরে ঘরোয়া আলোচনায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, একে তো শীলা সনিয়া-রাহুলের খুবই ঘনিষ্ঠ। তা ছাড়া সনিয়া-রাহুলও এ ব্যাপারে একমত যে, রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে সহযোগিতা না করার জন্যই দিল্লিতে পরাস্ত হয়েছে দল।
শীলা গত কাল তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের ডেকে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বলেন, দিল্লিতে যে পরিমাণ উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তার পরে কংগ্রেসের হারার কারণ ছিল না। দল সাহায্য না করাতেই সরকারের পতন ঘটেছে। শীলা নাম না করলেও এটা স্পষ্ট যে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জয়প্রকাশ অগ্রবালই তাঁর নিশানা। দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ভোটের মাত্র এক মাস আগে রাহুলের ডাকা বৈঠকে তুমুল বিতণ্ডাও হয় দু’জনের। জয়প্রকাশের অভিযোগ ছিল, শীলা দলকে পরোয়া করেন না। শীলার ক্ষোভ, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলার ধার ধারেন না জয়প্রকাশ। সে দিন রাহুলকেই লড়াই থামাতে এগিয়ে আসতে হয়েছিল।
শীলা শিবিরের নেতাদের এ-ও অভিযোগ, কংগ্রেসের হারের পিছনে হাত রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলে প্রধান মুখপাত্র অজয় মাকেনের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বহু দিন ধরে রয়েছেন মাকেন। দিল্লি বিধানসভা ভোটে মাকেন এক দিনও প্রচারে যাননি। কংগ্রেস সদর দফতর থেকে দিল্লির ভোট নিয়ে কোনও সাংবাদিক বৈঠক পর্যন্ত করতে দেননি। দশ নম্বর জনপথ ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক নেতা এ দিন বলেন, এ বারও বিধানসভা ভোটে শীলা জিতলে দলে আরও প্রভাব বাড়ত তাঁর। এমনকী দলে এই জল্পনাও ছিল যে, রাহুল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীও ঘোষণা করে দিতে পারেন। কিন্তু দলের অনেকেই শীলার এতটা উত্থান চান না। এই সার সত্যটা দশ নম্বর জনপথের কাছেও পরিষ্কার।
যে কারণে পরাজয়ের পরেও তাঁর সম্পর্কে রাহুল বলেছিলেন, “শীলাজি কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।” |
|
|
|
|
|