|
|
|
|
নতুন নেতা তুলে আনার জন্য সময় চায় সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একের পর এক নির্বাচনে হতাশাজনক ফল হচ্ছে আর দলের ভিতরে-বাইরে নেতৃত্ব বদলের দাবি উঠছে। কিন্তু প্রতিকূল সময়ে কারা দলের হাল ধরতে তৈরি, তা যাচাই না-করেই রাতারাতি নেতৃত্ব বদল সম্ভব নয় বলে ফের ব্যাখ্যা দিল সিপিএম। নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার প্রক্রিয়ার জন্য একটু সময় চাইছেন রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব।
গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদ্যপ্রয়াত সর্বভারতীয় সভানেত্রী শ্যামলী গুপ্তের স্মরণসভার মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার দলের এই অবস্থানই স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী। শ্যামলীদেবী দলের মহিলা সমিতি ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাঁর শূন্যস্থানে যে স্বাভাবিক ভাবেই তরুণ-তরুণীরা আসবেন, তা বলতে গিয়েই শ্যামলবাবুর যুক্তি, “আমাদের তো কংগ্রেসের মতো বুর্জোয়া পার্টি নয়! এখানে নেতা-মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ছেলে নেতা হয়ে যাবে, এ তো হয় না! টাকা দিয়েও নেতা নিয়ে আসা যায় না! একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়।” দল চালাতে সিপিএম নেতৃত্ব যাঁদের পরামর্শ নেন, তাঁদের অনেকেই ইদানীং নেতৃত্ব বদলের কথা বলছেন। তাঁদের প্রতি শ্যামলবাবুর আর্জি, “প্রতিকূল স্রোতে আমরা সাঁতার কাটছি। এই প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে চলতে চলতেই নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। তার জন্য একটু সময় তো লাগবেই।”
শ্যামলীদেবী এবং তাঁর প্রয়াত স্বামী শঙ্কর গুপ্ত, দু’জনেই দলের সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন। এখন দলের সর্বক্ষণের কর্মীই যে বেশি দরকার, সেই কথা বলেছেন বিমানবাবু, শ্যামলবাবুরা। বিমানবাবুর বক্তব্য, “রাজ্যে এখন পরিবেশ স্বাভাবিক নয়। এই পরিবেশের সামগ্রিক পরিবর্তনের চেষ্টার জন্য অনেক মানুষকে সংগঠিত করতে হবে। আর মানুষকে সংগঠিত করতে গেলে ভাল সংগঠক দরকার।” |
|
|
|
|
|