|
|
|
|
যৌন হেনস্থার দায়ে ছাত্রকে বহিষ্কার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
১০ ডিসেম্বর |
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন হেনস্থা বিষয়ক কমিটি’ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতক স্তরের ছাত্রকে দোষী চিহ্নিত করে। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ওই ছাত্রের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ‘বহিষ্কার’ বা ‘এক্সপালসন’ শব্দ ব্যবহার করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, ‘অ্যাডমিশন ক্যানসেল্ড’।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বা তার অধীন কোনও কলেজে ভবিষ্যতে ভর্তি হতে পারবে না ওই ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ‘যৌন হেনস্থা বিষয়ক কমিটি’র সামনে অভিযোগ অস্বীকার করলেও অভিযুক্ত পরে স্বীকার করে, ওই ছাত্রীকে অশ্লীল ছবি দেখানো হয়েছিল। উপাচার্যের কাছে পাঠানো রিপোর্টে কমিটি জানিয়েছে, এটাই যৌন হেনস্থা
প্রমাণে যথেষ্ট।
২৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতক প্রথম সেমিস্টারের এক ছাত্রী বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক ছাত্র তাঁর যৌন হেনস্থা করেছে। ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বিভাগীয় প্রধান। অভিযোগ পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন হেনস্থা বিষয়ক কমিটি’র কাছে।
অভিযোগ পেয়েও চারদিন তা নিয়ে পদক্ষেপ না-করায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও। উপাচার্য বলেন, ‘‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে খুশি নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিজনরা। তবে, তাঁদের বক্তব্য, বিভাগীয় প্রধান দ্রুত পদক্ষেপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অভিযোগকারিণী পরীক্ষা দিচ্ছেন। উপাচার্য জানিয়েছেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব রক্ষী এবং গাড়ি দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।
দায়ের কোপে খুন তিন। সম্পত্তি দখলের বিবাদের জেরে আত্মীয়দের আক্রমণেই নিহত হলেন তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে বরপেটা জেলায়। পুলিশ জানায়, গত রাতে সরভোগ এলাকায় একটি পরিবারের লোকেদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বচসা শুরু হয়। আচমকা কিশোর বর্মণ ও কনক বর্মণ নামে দু’জন লাঠি, দা নিয়ে পরিবারের অন্যদের উপরে চড়াও হয়। দায়ের কোপে শ্রীরাম বর্মণ, নির্মল বর্মণ ও কুলধর বর্মণের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন এক মহিলা। |
|
|
|
|
|