আমেরিকান সেন্টারের লিঙ্কন রুমের মঞ্চে পাশাপাশি চেয়ারে বসেছিলেন তাঁরা দু’জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অখ্যাত কন্যানগর গ্রামের রুনু পাল এবং সুদূর আমেরিকার অস্টিন শহরের পুলিশপ্রধান আর্ট অ্যাকেভেডো।
রুনু একেবারে তৃণমূল স্তরের মহিলা আন্দোলন কর্মী। গ্রামেগঞ্জে অত্যাচারিত মেয়েদের পাশে আইনি সাহায্যের জন্য দাঁড়াতে গিয়ে কী কী সমস্যার সামনে পড়তে হয় সে কথাই শোনাচ্ছিলেন দর্শক-শ্রোতাদের। অভিযোগ জানাচ্ছিলেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও পুলিশি হেনস্থা নিয়ে। বাংলায় বলা সেই সব অভিজ্ঞতার ইংরেজি তর্জমা শোনার পর রুনুর সমর্থনে হাততালি দিলেন ভিন্দেশীয় সেই পুলিশকর্তা। চাপের মুখে সাহস না-হারানোর পরামর্শ দিয়ে বললেন, “ঘরোয়া হিংসা অন্য অপরাধের থেকে কম নিন্দনীয় নয়। যদি আপনি অত্যাচারিত হন এবং বিচার না পান তা হলে সেই বিচারের জন্য ক্রমাগত দাবি জানিয়ে যাওয়ার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। এটা করতে কেউ আপনাকে আটকাতে পারে না।”
মঙ্গলবার দুপুরে আমেরিকান সেন্টারে বসেছিল আলোচনার আসর, যার বিষয়বস্তু ‘ঘরোয়া হিংসা প্রতিরোধের উপায় এবং এর মূল কারণ অনুসন্ধান।’ সেখানে কন্যানগরের রুনু নিজের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে বলেছিলেন, “গ্রামের মেয়েগুলো অভিযোগ জানাতে কোথায় যাবে বুঝতে পারে না, লেখাপড়া জানে না বলে থানায় অভিযোগ লিখতে পারে না। আমরা যখন তাঁদের সাহায্য করতে থানায় যাই তখন অনেক পুলিশকর্মী আমাদের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন, কেস নিতে চান না।”
রুনুর পরেই বলতে উঠে অচেনা, অপরিচিত মেয়েকে সাহস জোগান মার্কিন পুলিশকর্তা আর্ট অ্যাকেভেডো। তাঁর নিজের শহরের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “বিশ্ব জুড়ে ঘরোয়া হিংসা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের অস্টিনে অনেক অনুপ্রবেশকারী এবং অনেক অনাবাসী ভারতীয় রয়েছেন। এঁদের মধ্যে পারিবারিক হিংসার হার যথেষ্ট।
|