বছর শেষে ঘরে-বাইরে আরও সঙ্কটে ভারতের গাড়ি শিল্প। উৎসবের মরসুম শেষ হওয়ার পরে নভেম্বরে ফের দেশের বাজারে ৮% বিক্রি কমছে যাত্রী গাড়ির (প্যাসেঞ্জার কার)। আর রফতানি বাজারে তা কমেছে ১৯%। লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যবসার চাকা ঘোরার কোনও আশা দেখছে না গাড়ি শিল্প। বরং তাদের আশঙ্কা, ডিসেম্বরে বিক্রি আরও কমবে।
চলতি অর্থবর্ষে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা কারণে কিছু দিন ধরেই গাড়ি সংস্থাগুলির বাজার পড়তি। পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসাও। মঙ্গলবার নভেম্বরের বিক্রির খতিয়ান প্রকাশ করে গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের সিনিয়র ডিরেক্টর সুগত সেন জানান, তাঁদের হিসেবে নভেম্বরে দেশের বাজারে যাত্রী গাড়ি বিক্রি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ৮.১৬%। অক্টোবরের হিসেবে তা ছিল ৩.৮৮%। |
নারী শক্তির বোধন এ বার গাড়ির দুনিয়ায়। জেনারেল মোটরসের সিইও হচ্ছেন মেরি বারা।
১৫ জানুয়ারি
অবসর নেবেন চেয়ারম্যান ও সিইও ড্যান অ্যাকারসন। তার পরই দায়িত্ব নেবেন বারা। ছবি: পিটিআই। |
এ দিকে, বছরের শেষে অনেকেই গাড়ি কেনেন না বলে আশঙ্কা সুগতবাবুর। এর কারণ, ক্রেতারা নতুন বছরের জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ, পরে গাড়ি বিক্রি করতে গেলে বছর শেষে কেনা গাড়িটি কার্যত এক বছরের পুরনো হয়ে যায়।
সেই হিসেবে জানুয়ারিতে বিক্রি সামান্য বাড়তে পারে। তবে তা গাড়ি শিল্পের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সুখবর আনবে বলে মনে করছে না সিয়াম। সুগতবাবুর বক্তব্য, দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি না-হলে গাড়ি ব্যবসার চাকা ঘুরবে না। সে জন্য প্রয়োজন সহায়ক নীতির। একই সঙ্গে সরকারি তরফে আর্থিক সুবিধারও। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার আদৌ বলিষ্ঠ নীতি তৈরি করেতে পারবে কি না, তা নিয়েই সন্দিহান তাঁরা।
সুগতবাবুর অভিযোগ, আলজিরিয়ায় এত দিন ভাল ব্যবসা থাকলেও এখন নানা কারণ দেখিয়ে ভারতীয় গাড়ির বিক্রি আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে সেখানকার একটি যৌথ উদ্যোগ সংস্থার ভূমিকা থাকার ইঙ্গিত দেন তিনি। একই ভাবে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই ইউরোপে ভারতীয় গাড়ির বিক্রিতে পরোক্ষে বাধা সৃষ্টি করারও অভিযোগ করেছেন তিনি। |