বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠায় প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের ছেলের বিয়ে আটকাল পুলিশ।
রবিবার সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতের দায়ুদপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত দীপ্তেন্দু রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিপিএম নেতা অবনী রায় বলেন, “৮ ডিসেম্বর, রবিবার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সমস্ত আয়োজনও সম্পূর্ণ। এমন সময়ে পুলিশ জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এক মহিলা আমার ছেলের বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ করেছে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।” অবনীবাবুর দাবি, “এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মণ অধিকারী বলেন, “এটি পারিবারিক ঘটনা। বিপদে পড়ে ওঁরা বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।” দীপ্তেন্দুবাবু অবশ্য এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
পুলিশ সূত্রের খবর, অবনীবাবুর ছোট ছেলে দীপ্তেন্দুর প্রথম স্ত্রী শুভ্রা গত অক্টোবর মাসে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁদের দু’টি মেয়েও রয়েছে। এর পরে ২৫ নভেম্বর দাউদপুর গ্রামেই আর একটি মেয়ের সঙ্গে দ্বীপেন্দুর রেজিস্ট্রি হয়। ৮ ডিসেম্বর সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ৭ ডিসেম্বর, সন্দেশখালি থানা থেকে অবনীবাবুকে ফোনে জানানো হয়, ছেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান যেন তিনি বন্ধ রাখেন। সন্দেশখালি থানার ওসি সুরিন্দর সিংহ বলেন, “সম্প্রতি বসিরহাট আদালতে এক মহিলা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বীপেন্দু তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হলে পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে। মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগকারিণী জানান, ছ’সাত মাস আগে মোবাইল ফোনে দীপ্তেন্দুর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন দীপ্তেন্দু। পরে যখন জানতে পারেন অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করতে চলেছেন দীপ্তেন্দু তখন আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
অবনীবাবু বলেন, “দুই নাতনির কথা ভেবে দীপ্তেন্দু বিয়ে করছিল। এমন অভিযোগ ওঠায় দুই পরিবারই আলোচনা করে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।” |