নেলসন ম্যান্ডেলার প্রয়াণের পরে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। সে কারণেই এই প্রথম বার কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় স্মৃতি ফুটবলের ফাইনালে উপস্থিত থাকতে পারলেন না প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ বার ওই প্রতিযোগিতা ৫ বছরে পা দিল। শনিবার কেকেএম ফাইনালে জিতল বেলডাঙা কোচিং ক্লাব।
সে দিন ফাইনাল দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেঞ্জি মাঠে। বেলডাঙা কোচিং ক্লাব ৫-০ গোলে পরাজিত করে জঙ্গিপুর টাইগার্স ক্লাবকে। গত বারের মতো এ বারেও কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় স্মৃতি ‘গ্রাম ফুটবল’ গোল্ড কাপ বেলডাঙার দখলেই থাকল। ৫টি গোলের মধ্যে ৩টি গোলই করেছেন বেলডাঙার ইকবাল হোসেন। |
গত বারেও ইকবালের গোলেই জিতেছিল বেলডাঙা। শনিবার খেলা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই টাইগার্সের হাত থেকে খেলার রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেয় বেলডাঙা কোচিং। তারপর সময় যত গড়িয়েছে টাইগার্সের উপর ততই চাপ বাড়িয়েছে বেলডাঙা। বেলডাঙার কোচ তথা দুর্গাপুর স্টিলের প্রাক্তন ফুটবলার পুলক দাস বলেন, “জয় নিয়ে একশো ভাগই নিশ্চিত ছিলাম আমরা। খেলোয়াড়রা পাসিং ফুটবল খেলে টাইগার্সের উপর সমানে চাপ বাড়িয়ে গিয়েছে। ফুটবল যে এগারো জনের সমন্বয়ের খেলা সেটা দক্ষতার সঙ্গে দেখিয়েছে বেলডাঙার খেলোয়াড়েরা।” এ দিনের খেলা দেখে উচ্ছসিত প্রাক্তন ফুটবলার পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “পাসিং ফুটবল খেলেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে বেলডাঙা।” তবে টাইগার্সের সান্ত্বনা, ৯টি গোল দিয়ে টুর্নামেন্টের এ বছরের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান পেলেন তাদের অধিনায়ক আসিফ ইকবাল। আসিফ বলেন, “বেলডাঙা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। পাসিং ফুটবল খেলে যোগ্য দল হিসেবেই ওরা জিতেছে। তাদের সামনে সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আমরা।” এই নিয়ে পাঁচ বছরের কেকেএম ফুটবলে তিন-তিন বার ফাইনালে উঠেও তিনবারই রানার্স হয়ে মাঠ থেকে ফিরতে হল টাইগার্সকে। |