আধার প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকদের সরকারি পরিষেবা দেওয়া নিয়ে ইউপিএ সরকার নানা মহলের তোপের মুখে। ঠিক সেই সময়েই কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আধার প্রকল্পের খুঁটিনাটি সম্প্রতি চাক্ষুষ করে গেলেন ভুটানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁদের দাবি, এই ব্যবস্থা নাগরিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্যই করবে।
আধার নম্বরের ভিত্তিতে রান্নার গ্যাস, পড়ুয়াদের বৃত্তি-সহ নানা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করছে কেন্দ্র। কিন্তু এ নিয়ে নানা মহলে ক্ষোভ রয়েছে। যেমন, অনেকেরই এখনও আধার নম্বর তৈরি হয়নি। যদিও সরকারের যুক্তি, দ্রুত সকলের আধার নম্বর তৈরির কাজ চলছে। এবং যাঁদের সরকারি পরিষেবা প্রাপ্য, তাঁদের হাতেই সেই সুবিধা সরাসরি পৌঁছে দিতে এই প্রয়াস।
আধারের পাশাপাশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, চোখের মণি ও দশ আঙুলের ছাপ) নিয়ে কী ভাবে ভারতে জনসংখ্যার পঞ্জী তৈরির কাজ চলছে, তারই অভিজ্ঞতা নিতে এ দেশে এসেছিল ভুটানের স্বরাষ্ট্র ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন সিভিল রেজিস্ট্রেশন দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল সোনম টপগে-র নেত্ৃত্বাধীন এক প্রতিনিধিদল। কলকাতার আগে একই কারণে কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেও গিয়েছিলেন তাঁরা। দু’দিনের কলকাতা সফরের প্রথম দিনে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় জনগণনা জফতরের ডিডিজি এস কে চক্রবর্তী, আঞ্চলিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ অধিকর্তা প্রণব মজুমদার, আধারের আঞ্চলিক অধিকর্তা পি কে উপাধ্যায় প্রমুখ।
পরে সোনম বলেন, “আধারের মাধ্যমে কী ভাবে সরকারি পরিষেবা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায় তা দেখলাম। এটা বেশ ভাল প্রকল্প। এ ভাবে প্রশাসনের দক্ষতা যেমন বাড়ে, তেমনই ঠিক সময়ে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা যায়।” বস্তুত, ই-গভর্ন্যান্স-এর এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে তাঁর মত। এই অভিজ্ঞতা ভুটানের জনগণনা ও নাগরিকদের তথ্য ভাণ্ডার তৈরির কাজে লাগাতে চান তাঁরা। |