দেশবাসী চাইলে ভেঙে দিতে পারেন পার্লামেন্ট। এমনকী ৬০ দিনের মধ্যে নয়া নির্বাচনও করতে পারেন। রবিবার এ কথাই ঘোষণা করলেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাবাত্রা। তাতে অবশ্য বিক্ষোভ থামছে না। ইংলাকের দলের সঙ্গে দেশ পরিচালনা অসম্ভব, এ দাবিতে বিরোধী ‘ডেমোক্র্যাট পার্টির’ এমপি-রা ইস্তফা দেবেন বলে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। |
সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের ফাঁকে। রবিবার ব্যাঙ্ককে। ছবি: এপি। |
রবিবার ইংলাক বলেন, “এ অচলাবস্থায় কী করা উচিত, সে ব্যাপারে তাইল্যান্ডের মানুষ যাতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাই একটা গণভোট করা দরকার।” আর তাতে যদি দেখা যায়, যে নয়া নির্বাচনই চাইছেন তাইল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষ, তা হলে ইস্তফা দিতে দু’বার ভাববেন না ইংলাক। ভেঙে দেবেন পার্লামেন্টও। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে বিরোধীদের দাবি শুনতেও রাজি তিনি। কিন্তু একই সঙ্গে ইংলাকের হুমকি, বিরোধীরা তাঁর প্রস্তাব না মানলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না।
বিরোধীরা অবশ্য প্রথম থেকেই নয়া নির্বাচনের দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা চান, ‘পিপলস কাউন্সিলের’ মনোনীত সদস্যদের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করুন তাকসিনের বোন তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক। যে দাবিকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যেই খারিজ করেছেন ইংলাক।
প্রধানমন্ত্রীর রবিবারের প্রস্তাব সত্ত্বেও তাই আপাতত জট কাটার কোনও লক্ষণ নেই। উল্টে বিরোধীদের নেতা সুতেপ তাউগসুবান এ দিন বলেন, আগামিকালই ‘শেষ আঘাত’ হানবেন তাঁরা। আর এক নেতা সতিত ওয়ংনংতোয়ে রাতারাতি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে সেনার কাছ থেকে সাহায্যের কোনও প্রত্যাশা নেই তাঁদের, তাও জানিয়েছেন বিরোধীরা।
বড়সড় হামলার আশঙ্কা করে সরকারি ভবনগুলির সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইংলাক প্রশাসন। তবে মানুষ যদি সরকারি ভবনের দখল নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে জোর জবরদস্তি যেন না করা হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন ইংলাক। এর পর কী হয়, সেটা বুঝতে আগামিকালের দিকেই তাকিয়ে তাইল্যান্ড। |