একটি দোকানঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালে শুক্রবার গোঘাটের শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের মল্লুক গ্রামে প্রহৃত হলেন এক তৃণমূল নেতা-সহ তিন জন। কাশীনাথ বিশ্বাস নামে প্রহৃত তৃণমূল নেতাকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। বাকি দু’জনের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পুলিশ জানায়, ওই তিন জনের উপরে হামলার অভিযোগে কাদের আলি নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরও পাঁচ জন পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের মল্লুক খাল সংলগ্ন হারাধন মল্লিক নামে এক গ্রামবাসীর বাড়ির সামনে সম্প্রতি একটি দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন শেখ পিরু মহম্মদ নামে এক যুবক। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বলে ওই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন। হারাধনবাবু ওই নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানান গত বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার বিকেলে প্রধান তৃণমূলেরই শম্পা বিশ্বাসের কথামতো তাঁর শ্বশুর তথা দলের নেতা কাশীনাথবাবু আরও তিন জনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তখনই তাঁদের মারধর করা হয় বলে পিরু মহম্মদ-সহ ছ’জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শম্পাদেবী। প্রধানের দাবি, “দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ওরা আলোচনায় না বসে মারধর শুরু করে।” শেখ সাহাবুদ্দিন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “কোনও আলোচনাতে না বসেই ওঁরা নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছিল। কাউকে মারা হয়নি।” |