|
|
|
|
পঞ্চাশ পেরিয়ে অবসর একাত্তরের ‘সেনানী’-র
নিজস্ব প্রতিবেদন
৭ ডিসেম্বর |
আর যুদ্ধ নয়। এ বার অবসর চায় পঞ্চাশ পেরোনো ‘সেনানী’।
সে, কোনও রক্তমাংসের জওয়ান নয়। বায়ুসেনার খাতায় তার পরিচয় ‘মিগ-২১ এফএল’ হিসেবেই। এ বার রণক্ষেত্র ছেড়ে বায়ুসেনার ইতিহাসে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেবে সে। শনিবার পূর্বাঞ্চলের সেনা মুখপাত্র তথা গ্রুপ ক্যাপ্টেন তরুণকুমার সিংহ জানান, আগামী বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটি থেকে এই যুদ্ধবিমানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। সেখানে হাজির থাকবেন বায়ুসেনার বিদায়ী প্রধান তথা এয়ার চিফ মার্শাল নরম্যান অনিল কুমার ব্রাউন-ও। |
|
সেনা সূত্রের খবর, ‘মিগ-২১ এফএল’ যুদ্ধবিমানের সব থেকে বড় সাফল্য ছিল ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধে। বস্তুত, বায়ুসেনার ইতিহাসে এটাই ছিল প্রথম ‘সুপারসনিক’ জেট যুদ্ধবিমান। অর্থাৎ শব্দের চেয়েও বেশি গতিবেগে উড়তে পারে এই বিমানটি। তাই বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চূড়ান্ত হানা দেওয়ার জন্যও বায়ুসেনা-কর্তাদের কাছে বড় ভরসা ছিল এটি। ১৪ ডিসেম্বর নাগাদ ‘মিগ-২১ এফএল’ বিমানই বোমাবর্ষণ শুরু করে ঢাকার রাজভবনে। আর তাতেই ভেঙে পড়ছিল পাকিস্তানের প্রতিরোধ। যার জের ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বর। ঢাকার রমনা রেসকোর্সে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিংহ অরোরার কাছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির নেতৃত্বে প্রায় ৯০ হাজার পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে। সেই ১৬ ডিসেম্বরের পাঁচ দিন আগেই অবসর নিচ্ছে এই ‘সেনানী’।
সেনা মুখপাত্র জানান, কলাইকুন্ডা থেকে চারটি ‘মিগ-২১ এফএল’ উড়বে সে দিন। বিদায়ী বায়ুসেনা প্রধানের উদ্দেশে ‘স্যালুট’ জানাতে আকাশেই বাক্সের আকার তৈরি হবে। মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের আগে-পিছে উড়বে মিগ-২৭ এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানও।
অনেকের প্রশ্ন, বুধবার থেকেই কি মিগ-২১ সব যুদ্ধবিমান বাতিল হয়ে যাবে? বায়ুসেনা কর্তারা বলছেন, তা নয়। ‘মিগ-২১এফএল’ বাতিল করা হলেও ‘মিগ-২১ বাইসন’ নামে এই গোত্রের আর একটি যুদ্ধবিমান এখনও বাহিনীতে প্রচলিত রয়েছে। |
|
|
|
|
|