এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে একজন পুলিশকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে একদল মহিলার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বালুরঘাট থানার চকভবানীর ঘোষপাড়া এলাকায় উত্তেজিত মহিলারা ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র সহ নানা জিনিস ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। মৃত যুবকের নাম অভিষেক পাল (২৫)। তিনি চকভবানীরই বাসিন্দা ছিলেন। ওই যুবক সামান্য টাকাই আয় করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, চাকরি পাননি বলেই আত্মহত্যা করেছেন। তবে অভিষেকের মা অপর্ণা পালের দাবি, “ছেলের চাকরি পাওয়ার বয়স চলে যায়নি। মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিল সে। তারপরে আমার স্বামীর মৃত্যুর ফলে ওর পড়াশোনা আর বেশিদূর এগোয়নি।” তাঁর দাবি, “আমার ছেলে এ ভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে খুন করা হয়েছে। জোর করে ওই সুইসাইড নোট লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
ওই কনস্টেবল অবশ্য দাবি করেছেন, অভিষেকের খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত নন। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি অন্য এক যুবককে অবশ্য মারধর করেছিলেন। ওই কনস্টেবল অপর্ণাদেবীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “ঘটনার দিন অভিষেক নয়, অন্য যুবককে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছিল। তা তদন্তে জানা গিয়েছে। ভুল বুঝে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। উভয় তরফের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তাঁর মা মঙ্গলবার রাতে থানায় ডায়েরি করান। পর দিন সকালে পুরানো আদালত চত্বরের পরিত্যক্ত ঘর থেকে অভিষেকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। এই ঘটনার পরে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তবে মৃতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেনি। মৃতের বাড়ির লোকজন জানান, মোবাইল পেলেও তাতে কোনও সিম কার্ড মেলেনি। তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশ মোবাইলের কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখছে না কেন? যে ছেলেটিকে ভুল করে মারধর করা হয়েছে বলে পুলিশকর্মীটি ক্ষমা চেয়েছেন, তাঁকে আদালতে নিয়ে জবানবন্দি দেওয়ানো হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জানান, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, যে ছেলেটিকে মারধরের কথা পুলিশকর্মী স্বীকার করেছেন, তাঁর বাড়ির লোকজন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |