বাজেট পাশ নিয়ে জট ছাড়ল না বৃহস্পতিবারও। সমাজবাদী পার্টি এবং সিপিআইয়ের দুই সদস্যের সমর্থন নিয়ে মালদহ জেলা পরিষদের বাজেট বুধবার পাশ করতে পারেনি কংগ্রেস। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, বাজেট পাশ না হওয়ায় কর্মচারীদের বেতন ও আপত্কালীন কাজ ছাড়া জেলার সমস্ত উন্নয়নের কাজ থমকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির মোট সদস্য ৬৪। বাজেট পাশ করতে স্থায়ী সমিতির ৫০ শতাংশ অর্থাত্ ৩২ সদস্যের প্রয়োজন। কিন্তু কংগ্রেসের মাত্র ২৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইয়ের সদস্যদের নিয়েও কংগ্রেসের সমর্থন দাঁড়ায় ৩১। বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও সুশীল রায় অসুস্থতাজনিত কারণে সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এতেই কংগ্রেসের সমস্যা হয়।
এ দিন বামফ্রন্টের ১৪ ও তৃণমূলের ৬ জন সদস্য বাজেট সভা বয়কট করেন। বাজেট না পাশ করার জন্য কংগ্রেস জেলা প্রশাসনকে দায়ী করে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সরলা মুর্মু বলেন, “আমি সভাধিপতি অথচ জেলা প্রশাসন বিগত বোর্ডের সভাধিপতি উজ্জ্বল চৌধুরীর-সই করা খসড়া বাজেট আজকে পেশ করেছিল। সেই কারণে কংগ্রেস এদিন উজ্জ্বলবাবুর সই করা বাজেট পাশ করায়নি। তবে সেই খসড়া বাজেটও বাতিল করতে গেলে ৩২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তা আমাদের ওই দিন ছিল না।” সরলা বলেন, “অসুস্থ থাকার জন্য দলের দুই বিধায়ক ওই দিন জেলা পরিষদের সভায় যেতে পারেননি।”
জেলা পরিষদের এইও অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “২০১৩-২০১৪ সালের বাজেট পাশ হয়নি। তদানীন্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জ্বলবাবু বাজেটের খসড়া তৈরি করেছিলেন। নির্বাচনের জন্য সেই বাজেট পাশ করানো যায়নি। সেই বাজেটই বুধবার পেশ করা হয়েছিল। সবাই তা আগে থেকেই জানেন। বাজেট পাশ করতে ৩২ জন সদস্য দরকার ছিল। ক্ষমতাসীন দলের ৩১ জন সদস্য হাজির ছিলেন। তাই বাজেট পাশ হয়নি। এই খসড়া বাজেট বাতিল না করে নতুন বাজেট তৈরি করা যাবে না। তার জন্য ৩২ সদস্য দরকার। তা-ও সে দিন ছিল না।”
সে দিন বাজেট সভায় জেলা পরিষদের ৬৪ জন স্থায়ী সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের জেলাপ রিষদের ১৬ জন সদস্য, এক জন কংগ্রেসের সাংসদ, সমাজবাদী পার্টি ও সিপিআইয়ের এক জন করে সদস্য, পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক, ৭টি পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি হাজির হয়েছিলেন। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “বামফ্রন্ট বৈঠক বয়কট করেছিল। তারও বামফ্রন্টের দুই শরিক সদস্য বাজেটে যোগ দিয়েছেন। শরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।” |