প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে সরকারি বরাদ্দে আয়োজিত পড়ুয়াদের জেলা স্তরের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের জন্য শিক্ষকদের থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬-৭ ডিসেম্বর পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়, প্রাথমিক মাদ্রাসা ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ব্লক স্তরে সফল প্রতিযোগীদের নিয়ে জেলাস্তরের ওই প্রতিযোগিতা হবে। এর জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ৩৬৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেবেন।
প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে বেনামে ছাপানো অনুদান কুপনের নামে শিক্ষকদের একাংশের থেকে ১০০-২০০ টাকা চাঁদা তুলতে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। সরাসরি নাম না করলেও চাঁদা তোলার ঘটনায় তৃণমূলঘনিষ্ঠ শিক্ষকের একাংশ জড়িত বলে শিক্ষক মহলের অন্দরে অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার পিছনে ‘সিপিএমের ষড়যন্ত্র’কে দায়ী করেছেন। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “আদায়কারী হিসাবে নামের উল্লেখ না করে কুপন দিয়ে চাঁদার অভিযোগ নজরে এসেছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সিপিএমের লোক এই ষড়যন্ত্র করছেন বলে মনে হচ্ছে।”
বামেরা অবশ্য ওই ঘটনার জন্য তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সিপিএম জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের একাংশই ওই চাঁদা তুলছেন। তা ধামাচাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হবে।” ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের জেলা কমিটির সদস্য তথা সংসদের সদস্য সুব্রত নাহা বলেন, “সরকারি ওই অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা তোলার সিদ্ধান্ত সংসদে হয়নি। সংসদ কর্তারা ব্যর্থতা আড়াল করতে ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন।” অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা। সংগঠনের জেলার আহ্বায়ক দেবাশিস কর বলেন, “পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমাদের সদস্য ওই কাজ করতেই পারেন না।”
|