গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু, অনেক সময় কাজে গতি থাকে না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে বিএমওএইচ এবং ব্লকের অ্যাকাউন্টস্ ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গি প্রমুখ। কোন ব্লকে কত টাকা পড়ে রয়েছে, কাজ এগোতে কী কী সমস্যা হচ্ছেআলোচনায় সবই উঠে আসে। চলতি মাসের মাঝামাঝি জেলা স্বাস্থ্য সমিতির বৈঠকেও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ হয়। বরাদ্দ অর্থে কী ভাবে কাজ এগোচ্ছে, কোথাও সমস্যা রয়েছে কি না, বৈঠকে এ সব নিয়ে আলোচনা হয়।”
পশ্চিম মেদিনীপুর ‘পিছিয়ে পড়া’ জেলা। ২৯টি ব্লকের মধ্যে ১১টি ব্লকই জঙ্গলমহলে। অনুন্নত জঙ্গলমহল তো বটেই অন্যত্রও গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল। গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে এনআরএইচএম (ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন) প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। বরাদ্দ অর্থে মূলত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়। কিন্তু, অনেক সময়ই নজরদারির অভাবে কাজ এগোয় না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বছর জেলায় এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। তারাও কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিল।
গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অর্থে জেলার জঙ্গলমহলে ১২টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র হওয়ার কথা। এর মধ্যে ৪টির কাজ শেষ হয়েছে। ৫টির কাজ চলছে। আর ৩টির কাজ সে ভাবে শুরু হয়নি। ৪টি ১০ শয্যার উচ্চতর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির কথা। এই প্রকল্পেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল, ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট) তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯টি গ্রামীণ হাসপাতাল-ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসএনএসইউ (সিক নিওনেটাল স্টেবিলাইজেশন ইউনিট) চালু হওয়ার কথা। ১৬টির ঘর তৈরি সম্পূর্ণ। বাকিগুলোর কাজ চলছে।
এ দিন বৈঠকে এই সব প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জটিলতায় কোথাও পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাজ থমকে, কোথাও এসএনসিইউয়ের কাজ বন্ধ। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, “সামান্য সমস্যায় অনেক সময় কাজ ব্যাহত হয়। বৈঠকে বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |