|
|
|
|
টাকা হাতিয়ে উধাও সাধুবাবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
সরকারি চাকুরিজীবী পাত্রের সঙ্গে আশ্রমের এক কর্মীর মেয়ের বিয়ে প্রায় পাকা করে ফেলেছিলেন সাধুবাবা। সেই বিয়ের গয়না পছন্দের দোকান থেকে করিয়ে আনতে কর্মীটির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সাধুবাবা গিয়েছিলেন তাঁর গ্রামের বাড়ি। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। খোঁজ করতে গিয়ে আশ্রমের কর্মীরা দেখেন, আশ্রমের কোষাগারে জমা থাকা লক্ষাধিক টাকাও সাধুবাবার সঙ্গে উধাও হয়ে গিয়েছে। পাত্রটিও মোটেই সরকারি কর্মী নন। খোঁজ খবর শুরু করার পরে পর পর এমনই নানা তথ্য পেয়ে সাধুবাবা সম্পর্কে শিষ্য ও আশ্রমের কর্মীদের মোহভঙ্গ হয়েছে। শেষে তাঁরা ওই সাধুবাবুকে পাকড়াও করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা এলাকার একটি আশ্রমের ঘটনা। বৃহস্পতিবার হরিদাস গোস্বামী নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হরিদাস সঙ্গীদের জানিয়েছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। সেখানে তাঁর সন্ধান করা হচ্ছে।
আশ্রম সূত্রে খবর, মাস আটেক আগে এই আশ্রমে আসেন হরিদাস। মাঝ বয়সের ওই ব্যক্তি আশ্রমে বেশ কিছু ভক্তও জুটিয়ে নিয়েছিলেন। আশ্রমের কোষাগারের দায়িত্ব তিনি পেয়ে যান। ইতিমধ্যে আশ্রমের এক কর্মী শিবু কালিন্দির মেয়ের বিয়ের একটি সম্বন্ধও তিনি দেখেন। শিবুবাবুর অভিযোগ, “সাধুবাবাই দুবরাজপুর এলাকায় এক সরকারি চাকুরিজীবী পাত্রের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। বিয়ের গয়না গড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আমার কাছে লক্ষাধিক টাকা চান। বিশ্বাস করে তাঁকে সেই টাকা দিই। নভেম্বর মাসে তিনি দুবরাজপুর থেকে গয়না তৈরি করিয়ে আনার নাম করে সেই যে আশ্রম ছেড়ে বের হন। আর ফিরে আসেননি। তবে টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল। সম্প্রতি আমরা খবর পাই, ওই পাত্র সরকারি কর্মী নন। তার পর থেকেই দেখি তিনি ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়, তিনি আমাদের ধাপ্পা দিয়ে পালিয়েছেন।”
আশ্রমের সভাপতি কালীপদ সিংহ বলেন, “আমরা সবাই হরিপদবাবুকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম। তাঁকে আশ্রমের টাকা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, আশ্রমের সব টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|