|
|
|
|
অনলাইনে ফর্ম জমা, তফসিলি বৃত্তিতে অনীহা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়গপুর |
সময়সীমা শেষ হতে বাকি আর কয়েকদিন। অথচ তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সরকারি বৃত্তির অধিকাংশ ফর্মই এখনও জমা পড়েনি। চলতি বছরে ওই বৃত্তির নিয়মকানুনে পরিবর্তন হওয়ায় তৈরি হয়েছে জটিলতা। ফলে সমস্যায় পড়ুয়ারা।
তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের পঞ্চম থেকে স্নাতক স্তর পর্যন্ত সরকারি এই বৃত্তি দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে বৃত্তির নিয়মকানুনে রদবদল করে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির ফর্ম অনলাইনে পূরণ করতে হবে। তারপর ফর্মের প্রতিলিপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাক্ষর-সহ সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে জমা দিতে হবে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার জাতিগত শংসাপত্র জমা দেওয়ার দিতে বলা হয়।
অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার শেষ দিন ছিল গত ১৫ নভেম্বর। কিন্তু অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর ফর্ম পূরণ বাকি থাকায় সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর করা হয়। তা-ও শেষ হতে চলল। তবু এখনও অনেক ছাত্রছাত্রীর ফর্ম পূরণ বাকি। সমস্যা সব থেকে বেশি সবংয়ে। ওই ব্লকে এখনও ১৮০০টি ফর্ম জমা পড়েছে। এখনও প্রায় ২২০০ জন পড়ুয়ার ফর্ম জমা পড়েনি। সবং হাইস্কুলে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতিভুক্ত ৭৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ২৯ জনের কাছেই জাতিগত শংসাপত্র না থাকায় ফর্ম পূরণে সমস্যা হচ্ছে। কেশিয়াড়ি ব্লকেও ওই ভাতার আওতায় থাকা ১৫০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬০০ জনের ফর্ম জমা পড়েছে। সবং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অদিতিনন্দন রাজ বলেন, পুজোর আগে নতুন নিয়মের কথা আমাদের জানানো হয়েছিল। পুজোর ছুটি শেষ হতেই পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রীই আসছে না। তার মধ্যেই যাতে সবাই ফর্ম পূরণ করতে পারে, সে জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। যদিও সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কানাই পড়িয়ার কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে ক্লাসে গিয়ে নোটিস দিয়ে আমরা কাজটা অনেকটাই এগিয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে দু’বার বৈঠকেও বসেছেন। তবে বৃত্তির ফর্ম পূরণে দেরি হওয়ার পিছনে পড়ুয়াদের গড়িমসি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সবংয়ের বিডিও বিকাশ মজুমদার বলেন, “আমি দু’বার ব্লকের স্কুল ও কলেজগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছি। নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে অনেকেই মানিয়ে নিতে পারেনি। এ ব্যাপারে সচেতনতা না বাড়ায় সমস্যা হচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে কেশিয়াড়ির বিডিও অসীমকুমার নিয়োগীর বক্তব্য, “নতুন ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের সমস্যা হলেও আমরা যতটা সম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করছি। সময়ে কাজ শেষ করতে এ বার স্কুলে স্কুলে গিয়ে ফর্ম তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।” যদিও জেলার অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক রাহুল নাথ জানান, এ বার অঞ্চল অফিসগুলিতেও অনলাইনে ফর্ম পূরণের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ফলে, সময়ের মধ্যেই সব ফর্ম জমা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|