মোটরবাইক চুরি করে ভিনদেশে পাচারের অভিযোগে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়াখালার একটি বেসরকারি অতিথিশালা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি দামি মোটরবাইক, বেশ কিছু ‘মাস্টার কি’ এবং বাইকের লক ভাঙার অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২টি কম্পিউটার এবং চোরাই গাড়ির প্রচুর ব্লু-বুকও মিলেছে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে ২৪ কিলোগ্রাম গাঁজাও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজু খান, দীপু রায়, শেখ কামাল এবং মহম্মদ জামাল। রাজুর বাড়ি শিয়াখালায়। কামাল এবং জামাল শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটির বাসিন্দা। অন্য জনের বাড়ি মধ্যমগ্রামের সাহেরপুরে।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস ধরে শ্রীরামপুর শিল্পাঞ্চলে মোটর বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল। দুষ্কৃতীরা অধরা থাকায় পুলিশ চিন্তায় পড়েছিল। এ দিন সকালে শ্রীরামপুর থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি সূত্র মারফত খবর পেয়ে সিমলায় দুষ্কৃতীদের গোপন ডেরায় হানা দেন। সেখান থেকে ২৪ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। খোঁজখবর করে শিয়াখালার বড় তাজপুরে বেসরকারি অতিথিশালার হদিশ পায় পুলিশ। দুপুরে সেখানে হানা দিয়েই ওই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অতিথিশালায় আড়াই মাস ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে রাজু, কামালরা থাকছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, ডানকুনি, হাওড়ার ডোমজুড়, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় মোটরবাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের নামে। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া বাইকগুলি ডানকুনি, শ্রীরামপুর এবং ডোমজুড় থেকে চুরি হয়েছিল।
কিন্তু মোটর বাইক নিয়ে কোথায় পাচার করে ধৃতেরা? এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য, চোরাই বাইক তারা বনগাঁয় পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে নদীপথে সেগুলি বাংলাদেশে চলে যায়। তদন্তকারীদের দাবি, বাংলাদেশে বাইক পাঠানোর পরিবর্তে সেখান থেকে গাঁজা আমদানি করত দুষ্কৃতীরা। |