আগামী ১০ ডিসেম্বর হাওড়া পুরসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তা ঘিরে সেজে উঠছে পুরসভা এবং যেখানে এই অনুষ্ঠান হবে সেই শরৎ সদন চত্বর। তৃণমূল সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ পত্রের রং থেকে পথের তোরণ সবই তৈরি হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ অনুসারে। তোরণগুলি হচ্ছে নীল-সাদা রঙের। এমনকী যে শরৎ সদনের ১ নম্বর হলে এই অনুষ্ঠান হবে সেখানকার কার্পেটও পাল্টে ফেলা হচ্ছে। মেরুন কার্পেট পাল্টে বসছে সবুজ কার্পেট।
প্রায় ৩০ বছর পর হাওড়া পুরসভায় রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। পরপর ৬টি নির্বাচনে জয়লাভের পর এ বারের পুর নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে কার্যত পর্যুদস্ত বামফ্রন্ট। পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪২টি ওয়ার্ডে বিরোধীদের ধরাশায়ী করে হাওড়া পুরসভা এখন তৃণমূলের দখলে। স্বভাবতই আগামী ১০ তারিখের শপথ গ্রহণকে ঘিরে তৃণমূল, জেলা প্রশাসন ও পুরসভার ব্যস্ততা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে বাঁশের ভারা বেঁধে নতুন রং শুরু হয়ে গিয়েছে। ধোপদুরস্ত করা হচ্ছে চেয়ারম্যান, ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদদের ঘর। ফ্লুরোসেন্ট আলো লাগানো হয়েছে মেয়রের ঘরের সামনে। |
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১০ তারিখ সকাল ১০টা থেকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে শরৎ সদনের ১ নম্বর হলে। শপথ গ্রহণ করাবেন হাওড়ার জেলাশাসক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হাওড়ার তৃণমূলের সব মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও হাওড়ার বিশিষ্ট নাগরিকেরা। আমন্ত্রণ জানান হচ্ছে গত পুরবোর্ডের মেয়র ও মেয়র পারিষদদেরও।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস বলেন, “১০ ডিসেম্বর প্রথমে সমস্ত কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণ হবে। এর পর মেয়র ও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁদেরও শপথবাক্য পাঠ করানো হবে।”
তৃণমল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠানটি সাজানো হচ্ছে। নিমন্ত্রণ পত্রটি সাদার উপরে আকাশ নীল রঙের। মধ্য হাওড়া তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায় জানান, দলনেত্রীর যেগুলি পছন্দ করেন না, তা বাদ দেওয়া হচ্ছে। সুপ্রীতিবাবু বলেন, “যে ভাবে রাজ্য মন্ত্রী সভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল, তেমনই হাওড়া পুরসভার এই পরিবর্তনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বিরোধী দলকে বিশেষ করে প্রাক্তন মেয়র ও মেয়র পারিষদদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।”
প্রাক্তন মেয়র মমতা জায়সবাল বলেন, “আগে তো নিমন্ত্রণ পাই, এর পর দল কী নির্দেশ দেয় দেখতে হবে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি ওই অনুষ্ঠানে যেতে রাজি নই।” |