কর্মীদের মনোবল বাড়াতে আইন অমান্য কংগ্রেসের৫ ডিসেম্বর
লোকসভা ভোটের লড়াই শুরুর আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এ বার রাস্তায় নামল ত্রিপুরা কংগ্রেস।
সেই লক্ষ্যেই আজ আইন অমান্য আন্দোলনের পথে এগোলেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকারের ‘অপশাসনের’ বিরুদ্ধে ওই আন্দোলনে সামিল হলেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। ভিড় দেখে খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর সবাইকে নিয়ে তাঁরা শপথ নিলেন—‘হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলার।’
রাজ্যের গত বারের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মাঝেমধ্যেই ‘ভাঙন’ ধরেছে কংগ্রেসে। অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। এতে স্পষ্টতই বিব্রত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। গতকালও তৃণমূল রাজ্য কর্মী সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা জানিয়ে ওই দলে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। দলত্যাগের সেই ‘প্রবণতা’ রুখতে আজ সমাবেশ-মঞ্চ থেকেই কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেছেন— দলত্যাগ হলেও কংগ্রেস হারিয়ে যাবে না। এই দল গঙ্গা নদীর মতো। কখনওই তা শুকিয়ে যাবে না।

কংগ্রেসের আন্দোলন। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী।
প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, ‘দলতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে কংগ্রেস। এটাই দলের আদর্শ।’ আঞ্চলিক দলের প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে কেউ কেউ দলত্যাগ করলেও, কংগ্রেস দুর্বল হবে না। তাঁদের আহ্বান, ‘বামফ্রন্টের অপশাসনের অবসানে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাবে প্রদেশ কংগ্রেস। আপনারাও পাশে থাকুন।’
রাজ্যে বামফ্রন্টের আমলে ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, টাকার বিছানায় শাসক দলের কর্মীর বিশ্রাম, বেকার ও সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনা, ভেজাল ওষুধ কেলেঙ্কারি, নারী নির্যাতন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সরকারি অপদার্থতা, স্বাস্থ্য পরিষেবার অবনতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যর্থতার প্রতিবাদে আইন অমান্য আন্দোলন করে কংগ্রেস। দলের কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহা বলেন, “বামফ্রন্ট সরকার দলীয় শাসন কায়েম করেছে। সীমাহীন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। রাজ্যবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’’
আগরতলার বিবেকানন্দ স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়। সামিল হন কয়েক হাজার দলীয় কর্মী, সমর্থক। দুপুরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শহর। মিছিল জয়নগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে পুলিশ সেটি আটকে দেয়। পুলিশ জানায়, প্রায় ১০-১২ হাজার আইন অমান্যকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিবাচন্দ্র রাংখল, কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহা, পরিষদীয় দলের বিরোধী নেতা সুদীপ রায়বর্মণ, বিধায়ক গোপাল রায়, জিতেন সরকার, বীরজিৎ সিনহা, বিশ্ববন্ধু সেনকে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.