|
|
|
|
|
রাজ্যের জমা প্রকল্পে যোগ
দেওয়া নিয়ে ভাবছে স্টেট ব্যাঙ্ক নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
রাজ্য সরকারের ‘সেফ সেভিংস স্কিম’ বা নিরাপদ জমা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি স্টেট ব্যাঙ্ক।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইনফোকম-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ কথা জানিয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি কে মলহোত্র। তাঁর বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতির সঙ্গে যদি কোনও বিরোধ না-হয়, তা হলে এই প্রকল্পে যোগ দিতে তাঁদের আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, “আমানতকারীদের টাকা যে তাঁদের হাতেই যাবে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই প্রকল্পে আমাদের যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।” |
ইনফোকমে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মিলন মেলায় সুদীপ আচার্যের তোলা ছবি। |
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন (ডব্লিউবিআইডিএফসি)-এর মাধ্যমে ওই সঞ্চয় প্রকল্পটি গত নভেম্বরে বাজারে এনেছে রাজ্য সরকার। সারদা কাণ্ড ধরা পড়ার পরেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। কিন্তু কোন কোন ব্যাঙ্ক এই সঞ্চয় প্রকল্পে যুক্ত হবে, তা নিয়ে সেই সময়েই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।
বিজ্ঞাপনে রাজ্য দাবি করেছিল, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্ক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে। ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের টাকা জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বাকি তিন ব্যাঙ্কের সঙ্গে ডব্লিউবিআইডিএফসি-র কোনও ব্যবস্থা পাকা হয়নি। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক আবার জানিয়েছিল, এই প্রকল্পে সরাসরি তারা টাকা জমা নেবে না। তাদের ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানকার টাকা যদি সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ওই প্রকল্পে স্থানান্তরিত করতে বলেন, তা হলে তারা সেটা রাজ্য সরকারের ওই প্রকল্পের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। এই প্রক্রিয়াটি অবশ্য যে-কোনও ব্যাঙ্কেরই প্রচিলত একটি নিয়ম।
অন্য দিকে, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের অভিযোগ ছিল, কোনও আলোচনা না-করেই বিজ্ঞাপনে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনা চললেও এ নিয়ে তখন যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, সে কথা অবশ্য মেনে নিয়েছিল ডব্লিউবিআইডিএফসি। তবে আলোচনা চলাকালীন বিজ্ঞাপনে ব্যাঙ্কের নাম দিলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়েছিল তাদের।
স্টেট ব্যাঙ্কের অন্যতম কর্তা এখনও সিদ্ধান্ত না-নেওয়ার কথা এ দিন বললেও ডব্লিউবিআইডিএফসি কর্তৃপক্ষের আশা, সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। সংস্থার এক কর্তা বলেন, “আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, দিন পনেরোর মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।” তাঁদের দাবি, এই প্রকল্পে স্টেট ব্যাঙ্কের নীতিগত ভাবে সম্মতি রয়েছে। শুধু কিছু প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয় চূড়ান্ত হওয়া বাকি। সেগুলি নিয়েই আলোচনা চলছে।
সংস্থার আরও দাবি, অনেক ব্যাঙ্কই এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি ডব্লিউবিআইডিএফসি চাইছে, যে-সব ব্যাঙ্কের গ্রামীণ এলাকায় শাখা বেশি, সেগুলিকে এই প্রকল্পে যুক্ত করতে। একই সঙ্গে যাদের সঙ্গে ডব্লিউবিআইডিএফসি-র দীর্ঘদিন লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে, তাদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত করতে চায় তারা। |
|
|
|
|
|