তামাঙ্গ, ভুটিয়াদের পর আলাদা উন্নয়ন পর্ষদের দাবিতে এ বার সরব হলেন শেরপা’রা। গত অগস্ট মাসে রাজ্য সরকার পাহাড়ের জন্য আলাদা লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করার ঘোষণা করে। তার পর থেকেই পাহাড়ে বিভিন্ন জনজাতির এবং গোষ্ঠীর সদস্যরা একইভাবে তাঁদের জন্য আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের জন্য দাবি জানাতে শুরু করেছেন। ওই দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণাও করেছে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পাহাড়ের মানুষেরা।
অল শেরপা বুদ্ধিষ্ট ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল অ্যাকশন কমিটির চিফ কোর্ডিনেটর নিমা ওয়াংদি শেরপা বলেন, “আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের ১০-১২টি গুম্ফা রয়েছে। সেগুলি সংস্কার-সহ নানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ দরকার।”
তিনি জানান, গত অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং সফরে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁকে একটি স্মারকলিপি দিয়ে দাবির কথা জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরবর্তীতে সরকারের উপর এই দাবিতে চাপ সৃষ্টি করার জন্য যা যা করণীয় সবই করা হবে।” অ্যাকশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন পাহাড়ের বাসিন্দারা শেরপারা। ১৯২৪ সালে শেরপা’দের তুংসং গুম্ফা তৈরি হয়। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং মহকুমায় প্রায় দেড় লক্ষ শেরপা রয়েছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা নিয়ে মোর্চা এবং সরকারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মোর্চা নেতাদের দাবি ছিল পাহাড়ে এই ধরণের কোনও উন্নয়ন পর্ষদ গঠন হলে তা জিটিএ অধীনেই করতে হবে। যদিও লেপচা’দের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এই প্রসঙ্গে অ্যাকশন কমিটির নিমা ওয়াংদি শেরপা বলেন, “আমরা চাই ঠিক যেভাবে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়েছে, সেই ভাবেই শেরপা উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হোক। এই দাবির প্রসঙ্গে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “যে কোনও সংগঠন, সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠী এই ধরনের দাবি তুলতেই পারেন। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমাদের বক্তব্য, পাহাড়ে এই ধরনের পর্ষদ গঠন হলে তা অবশ্য জিটিএ-র অধীনে রাখতে হবে।” |