ছাউনি নেই, সমস্যায় বাসযাত্রীরা
রিকাঠামো গড়ার কাজ থমকে রয়েছে আদ্রার কাশীপুর বাসস্ট্যান্ডে। ছ’-সাত বছর আগে আদ্রার কাশীপুর মোড়ে পুরোদস্তুর বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কাজ অসম্পূর্ণই থেকেছে। আর তার জেরে নিত্যদিন সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের সৌমেন বেলথরিয়ার অবশ্য দাবি, ওই বাসস্ট্যান্ডে উন্নতমানের যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রেলশহর আদ্রা থেকে কাশীপুর ও হুড়া ব্লক এলাকায় যাওয়ার জন্য গাড়ি মেলে এই বাসস্ট্যান্ডে। বাস, ট্রেকার ও ছোট যাত্রিবাহী গাড়ি মিলিয়ে দৈনিক শতাধিক গাড়ি ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচল করে। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ওই স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ধরলেও ন্যূনতম যাত্রী পরিষেবার ব্যবস্থা নেই এখানে। যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বস্তুত, ছয়-সাত বছর আগে রেলের জমিতে পুরোদস্তুর আধুনিক বাসস্ট্যান্ড গড়ায় উদ্যোগী হয়েছিল বাম পরিচালিত কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি। রেলের তরফে জমিতে বাসস্ট্যান্ড গড়ার অনুমতি মেলার পরে পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করে প্রাথমিক কাজও শুরু করা হয়েছিল।
আদ্রার কাশীপুর বাসস্ট্যান্ড। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।
পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরে রাজ্য পরিবহণ দফতর থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রথম ধাপের প্রায় ছ’লক্ষ টাকা পাওয়ার পরে রেলের কাছে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছিল। রেলের পরামর্শ মেনে পরিকল্পনায় কিছু বদলও ঘটানো হয়েছিল।
সুকুমারবাবু জানান, প্রথমে কাজ শুরু হয়েছিল জব-ওয়ার্কারের মাধ্যমে। পরে পরিবহণ দফতর জানায়, কাজ করতে হবে টেন্ডার ডেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে। নতুন পদ্ধতিতে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত দেরি হওয়ায় বাসস্ট্যান্ড তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। সুকুমারবাবুর দাবি, “পরিকল্পনা ছিল, যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সমেত পূর্ণাঙ্গ বাসস্ট্যান্ডের। কিন্তু, প্রক্রিয়াগত দেরির জন্য কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। বাকি টাকা পঞ্চায়েত সমিতির তহবিলেই পড়ে রয়েছে।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেনবাবু বলেন, “আদ্রার কাশীপুর মোড়ের বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য রেলের তরফে যে ধরনের অনুমতি পাওয়া দরকার, তা মেলেনি। আমরা ইতিমধ্যেই রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে।” তহবিলের সমস্যা হবে না বলেও তাঁর দাবি। তিনি জানান, আপাতত ওই এলাকায় পরিবহণ দফতরের অর্থে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.