বাস দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুমৃত্যুর জেরে বাস ভাঙচুর করেছিল ক্ষিপ্ত জনতা। এর জেরেই দু’দিন ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-রায়দিঘি রুটের এম-১০ রুটের বাস। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে নিত্য অফিসযাত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই রুটের বাসমালিক কর্তৃপক্ষও।
মঙ্গলবার সকালে ওই রুটের একটি বাস মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অরিজিত্ গায়েন নামে আড়াই বছরের একটি শিশুকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বাসে ভাঙচুর চালায়। জনতার বিক্ষোভের জেরেই বন্ধ হয়ে যায় ওই রুটের বাস চলাচল।
ডায়মন্ড হারবার থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। অন্যান্য কিছু রুটের বাস থাকলেও মথুরাপুর স্টেশন মোড় থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তা এম-১০ বাসই ভরসা নিত্যযাত্রীদের। ডায়মন্ড হারবার ও রায়দিঘিতে অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজে আসার জন্য নিত্য প্রয়োজনে বহু মানুষই এই বাসের উপরই ভরসা করেন। কিন্তু দু’দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন সকলে। সুযোগ পেয়ে দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া নিচ্ছে অটো বা ট্রেকার। সমরেন্দ্র দাস এক নিত্যযাত্রী বলেন, “মোটরভ্যান, ট্রেকারে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। ভাড়াও লাগছে অনেক বেশি।” বাস কেন বন্ধ রেখেছেন ওই রুটের বাসমালিকেরা? বাসমালিক ইউনিয়নের সম্পাদক রইচউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘নিত্যযাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে, এটা সত্যি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের আশ্বাস না পেলে আমাদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব নয়।” অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ওই রুটের সমস্ত বাস যাতে চালু করা যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। |