চুঁয়াপুরে রেলগেটেরও উপর প্রস্তাবিত উড়ালপুল ও ভাগীরথীর উপর নির্মীয়মান নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল সেতুর কাজ থমকে থাকার জন্য ফের রাজ্যকে দুষলেন রেল প্রতিমন্ত্রী।
শিয়ালদহ বিভাগে বহরমপুর-শিয়ালদহ শাখায় নতুন একটি মেমু ট্রেন চালু হল বুধবার। এ দিন সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধীর বলেন, “ওই রেল গেটটি যে মানুষের কাছে আতঙ্ক তা আমি জানি। ওই অসুবিধা দূর করতে রেল ওভার ব্রিজ তৈরির জন্য ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। শিলান্যাসও হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি না দিলে ওভার ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ হবে কি করে!” |
এ ব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থা বাছাইয়ের কাজ শেষ। ব্রিজের নকশাও তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে বলে রেলের দাবি। কিন্তু পূর্ত দফতর সেই নকশার অনুমিতই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওই প্রস্তাবিত সেতুর দু-ধারে শতাধিক দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু নকশা অনুমোদন না করায় কাজ আর গতি পায়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের নির্বাহী সভাপতি হুমায়ুন কবীরের পাল্টা অভিযোগ, “পূর্ত দফতরের অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও নারকেল ফাটিয়ে ওই সেতুর শিলান্যাস করলেন কেন মন্ত্রী? রাজনৈতিক চমক দিতে?” তাঁর দাবি, চুঁয়াপুরের রেলগেটের উপর প্রস্তাবিত সেতুর নকশা তৈরি করেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়ররা। সেই নকশা চুঁয়াপুরের রেলগেটের পক্ষে উপযুক্ত কিনা পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তা খতিয়ে দেখছেন। অনুমোদনে দেরি হচ্ছে
সেই কারণেই। |