|
|
|
|
পুর নির্বাচনের জের, সরছেন শহর সভাপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সদ্যসমাপ্ত পুর-নির্বাচনে কোনও মতে মানরক্ষা হয়েছে। ২৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৩টি জুটেছে। অর্থাৎ, পাশ মার্কস মিলেছে! এই পরিস্থিতিতে পদ খোয়াতে চলেছেন তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা। দলীয় সূত্রে খবর, শীঘ্রই নতুন শহর সভাপতির নাম ঘোষণা করবেন নেতৃত্ব। এ নিয়ে রাজ্যস্তরে চূড়ান্ত আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই শহর সভাপতি পদে রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন শহর সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে আশিস চক্রবর্তী। আশিসবাবু জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “এ নিয়ে দলে আলোচনা চলছে। এখনই কিছু বলব না।” |
|
তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা। |
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে মেদিনীপুর পুরসভার বোর্ড গঠন হতে পারে। তারপরই শহর সভাপতির আনুষ্ঠানিক বদল করা হবে। আগে মেদিনীপুর পুরসভা কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে ছিল। এ বার তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে। তবে, ফল প্রত্যাশিত হয়নি। ২০০৮ সালের পুরভোটে তৃণমূল ১০টি আসন পেয়েছিল। এ বার পেয়েছে ১৩টি। দলীয় নেতৃত্ব ভেবেছিলেন, কমপক্ষে ১৭-১৮টি আসন তৃণমূল পাবে। তা না হওয়ায় দলে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। এ বার কংগ্রেসের আসন বেড়ে ৪ থেকে ৬ হয়েছে এবং দু’টি ওয়ার্ডই তারা কেড়েছে তৃণমূলের থেকে। এ নিয়েও কাঁটাছেঁড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই সাংগঠনিক রদবদল।
সুকুমারবাবু ২০০৬ সালে শহর সভাপতি হন। তিনি পেশায় আইনজীবী। রাজ্যে পালাবদলের পর মেদিনীপুর আদালতের জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার্স) হন। জেলা রাজনীতিতে মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ আছেই। সুকুমারবাবু বরাবর মুকুল-অনুগামী বলেই পরিচিত। দলের এক সূত্রের দাবি, এ বার পুরভোটে ফল খারাপ হয়েছে। কোনও মতে মানরক্ষা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে শহর সভাপতিকে সরাতে চাইছেন নেতৃত্ব। শহর সভাপতি জিপি পদে থাকায় সে ভাবে দলে সময়ও দিতে পারছেন না। ফলে, সংগঠনে ফাঁক থেকে যাচ্ছে।
বুধবার সুকুমারবাবু নিজে অবশ্য বলেন, “আমি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। যা জানানোর নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতিরও বক্তব্য, “শহর সভাপতি তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। দলে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।” পদাধিকার বলে সুকুমারবাবু জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। তাঁর ওই পদ থাকছে।
নতুন শহর সভাপতি হিসেবে যাঁর নাম উঠে আসছে, সেই আশিস চক্রবর্তী এ বার পুরভোটে ২৮ ভোটে হেরেছেন। বুধবার তিনি বলেন, “আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। দল যা বলবে তাই-ই করব।” |
|
|
|
|
|