|
|
|
|
নেতার যাবজ্জীবন, অস্বস্তিতে আরজেডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা
৪ নভেম্বর |
লালুপ্রসাদের পর এ বার ‘জেল-যাত্রা’ আরজেডি-র আরও এক প্রথম সারির নেতার।
এক ব্যবসায়ী খুনের মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডির জাতীয় মুখপাত্র বিজয়কৃষ্ণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে নিম্ন আদালত। একে দল-প্রধান লালুপ্রসাদ দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে। এ বার দলের আর এক শীর্ষ নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,—সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বেশ অস্বস্তিতেই আরজেডি।
পটনার ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র সিংহের খুন মামলায় আজ বিজয়কৃষ্ণ-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন পটনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক নন্দকিশোর শ্রীবাস্তব। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজয়ের ছেলে চাণক্যও।
২০০৯ সালের ২৩ মে পরিবহণ ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র সিংহকে বিধায়ক নিবাসে, নিজের ডেরায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিজয়। সেখান থেকে গাড়িতে তুলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এস কে পুরী এলাকায়, বিজয়কৃষ্ণের একটি ফ্ল্যাটে। টাকার লেনদেন নিয়ে দু’জনের বচসা শুরু হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিজয়ের ছেলে চাণক্য। আচমকা সত্যেন্দ্রকে গুলি করে চাণক্য। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর লোহার ট্রাঙ্কে মৃতদেহটি ভরে গাঁধী সেতু থেকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে, বিজয়ের পরিচারক গগন এবং নিরাপত্তারক্ষী উমেশ সিংহকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে, নৌবাহিনীর সাহায্য নিয়ে গঙ্গা থেকে নিহত ব্যবসায়ীর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর ফেরার হয়ে যায় পিতা-পুত্র। শেষ পর্যন্ত বিজয়কৃষ্ণকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আত্মসমর্পণ করে চাণক্য। সত্যেন্দ্র সিংহ যখন খুন হন, তখন বিজয় ছিলেন নীতীশের জেডিইউ-এ। দল তাঁকে বহিস্কার করার পর ফের পুরনো দল আরজেডিতে আশ্রয় পান তিনি। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বার লোকসভা কেন্দ্রে নীতীশ কুমারকে পরাজিত করেন এই বিজয়কৃষ্ণ। দলে তার পরিচয় হয় ‘জায়েন্ট কিলার’ হিসেবে।
এক সময় লালু মন্ত্রিসভায় জেলমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। বিজয় এবং এই মামলায় অভিযুক্ত, তাঁর পরিচারক গগন এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন। জেলে ছিল তার ছেলে চাণক্য এবং নিরাপত্তারক্ষী। গত বিধানসভা ভোটে আরজেডির হয়ে ফের বার কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন তিনি। নিহত ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র সিংহের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হন। বিজয়কে পরাজিত করেন তিনি।
আজ আদালতের রায়ে খুশি লক্ষ্মীদেবী। তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ বিচার পেয়েছি। তবে আমি ওদের ফাঁসিই চেয়েছিলাম।” সাজাপ্রাপ্ত বিজয়কৃষ্ণের বক্তব্য, “রাজনৈতিক চক্রান্তের বলি হয়েছি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।” |
|
|
|
|
|