চাই একটি সেতু। দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ না হওয়ায় মাড়গ্রাম থানার সাহাপুর ও বুধিগ্রাম এই দুই পঞ্চায়েতের প্রায় চল্লিশ হাজার বাসিন্দাকে ১০ মিনিটের পথ (৭ কিলোমিটার) যেতে ৪০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির ওই দুই পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা বছর তিনেক আগে বেসিক মোড় থেকে মাড়গ্রাম যাওয়ার জন্য দ্বারকা নদের উপর ওই সেতুর দাবিতে জেলাপরিষদের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনপত্রও পাঠিয়েছিলেন।
এলাকার বাসিন্দা তথা জেলাপরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি নিতাই মালের দাবি, ২০১১ সালে জেলাপরিষদ থেকে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধার্য করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু আজও অনুমোদন মেলেনি। সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা ডালিম মাল বলেন, “রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অফিস, ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিস, বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র, শিক্ষা দফতর সবই মাড়গ্রামে রয়েছে। ওই সমস্ত অফিসে নিত্যদিন কাজের জন্য এলাকাবাসীকে ঘুরপথে রামপুরহাট হয়ে প্রায় ৪০ কিমি পথ যাতায়াত করতে হয়। অথচ সেতু নির্মাণ হলে সেই পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।” সাহাপুর পঞ্চায়েতের নুরুদ্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক, বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের কাশীপুর গ্রামের নুরুল জামাল, ইশিড়া গ্রামের প্রভাত মালরা জানালেন, সেতুটি তৈরি হলে মাড়গ্রাম থানার সঙ্গে দ্রুত এবং সহজে পুলিশের পরিষেবা পাওয়া যাবে। তারাপীঠের সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হবে। পাশাপাশি এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য খুব সহজে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করারও সুযোগ পাবেন। রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও অর্নিবাণ সাহু বলেন, “বাস্তবিকই ওখানে একটি সেতু হলে আমাদের প্রশাসনিক কাজ চালাতেও সুবিধে হবে। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলাশাসকের (জেলাপরিষদ) নজরে আনা হয়েছে। তাঁর নির্দেশ মতো একটি প্রকল্প ব্যয় খুব শীঘ্রই জেলাপরিষদে পাঠাব।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) বিধান রায় বলেন, “এলাকাটি দেখে এসেছি। সেতু নির্মাণের জন্য বিডিওকে প্রকল্প ব্যয় পাঠাতে বলেছি। প্রকল্প ব্যয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |