আফ্রিকার দেশগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে আগে থেকেই। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ড্রোন বা উড়ুক্কু যানের পেটে ওষুধ ভরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠায় বহু দিন ধরেই। শত্রু-ডেরায় নজরদারি বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতেও এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বাড়িতে-বাড়িতে ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যও এ বার ওই উড়ুক্কু যানের ব্যবহার করা হবে বলে ঘোষণা করে জোর বিতর্ক বাধিয়েছে একটি অনলাইন স্টোর।
সংস্থাটির সিইও জেফ বেজো এক টিভি চ্যানেলকে জানান, আমেরিকায় ক্রেতার দরজায় জিনিস পৌঁছে দিতে আর ক’বছরের মধ্যেই আকাশে উড়বে তাঁদের ড্রোন। কিন্তু ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলে পণ্য পাঠাতে উড়ুক্কু যানের ব্যবহার আদৌ কতটা সম্ভব, উঠেছে সেই প্রশ্ন। স্রেফ নজর কাড়া বা প্রচারে থাকার জন্যই সংস্থাটি এমন দাবি করছে বলেও উঠছে অভিযোগ।
রবিবার সংস্থাটির কর্তা জেফ বেশ জোরের সঙ্গেই দাবি করেন, অনলাইনে হয়তো আধ ঘণ্টা আগে পছন্দসই জিনিসের অর্ডার দিয়েছেন। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই দোরগোড়ায় হাজির হবে তা। চার-পাঁচ বছরের মধ্যেই ‘প্রাইম এয়ার’ নামে তাদের ‘অক্টোকপ্টার’ আকাশে দাপিয়ে বেড়াবে হালকা জিনিস পেটে পুরে।
এই ভাবনায় যে চমক আছে, অনেকেই তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটারির জোরে উড়ুক্কু যান বহু দূরের রাস্তা পাড়ি দেবে কী ভাবে, থাকছে সেই প্রশ্ন। এ ছাড়াও, মার্কিন আকাশ-সীমায় বাণিজ্যিক কাজে উড়ুক্কু যানের ব্যবহার এখনও নিষিদ্ধ। ফলে সেই ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত অধরাই থাকবে স্বপ্নের এই প্রকল্প।
বাড়ি-বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতে গত বছর এমন একটা খেয়াল চেপেছিল ডাস্টিন বয়েরও। সান ফ্রানসিস্কোয় ফাস্ট ফুডের ব্যবসা আছে তাঁর। কিন্তু বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত না পাওয়ায় চালু করা যায়নি এই ব্যবস্থা। ডাস্টিনের কথায়, “আগামী দিনের ব্যবসা নির্ভর করবে এই সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপরই। একে তো ড্রোনের দাম ক্রমশ কমছে। এগুলি ব্যবহার করা গেলে তেল পুড়িয়ে ক্রেতার দরজায় পাঠাতে হবে না কোনও কর্মীকেও। ফলে এক দিন না এক দিন জিনিস পাঠাতে উড়ুক্কু যানের কথা ভাবতেই হবে সকলকে,” বলছেন ডাস্টিন। |