নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
দার্জিলিং পার্বত্য এলাকাকে দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি তুললেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি। পর্যটন, পরিবহণ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই ওই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দার্জিলিঙের গোর্খা দুখ নিবারক সম্মেলন হলে সিপিএমের কনভেনশনে দাবি করেছেন ইয়েচুরি। দাবির বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও জানানো হয়েছে বলে দাবি করে, ইয়েচুরি জানিয়েছেন এ বিষয়ে রাজ্যের থেকে কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন দার্জিলিঙে সিপিএমের কনভেনশন আয়োজিত হয়। |
দার্জিলিঙে সিপিএমের কনভেনশনে সীতারাম ইয়েচুরি। ছবি: রবিন রাই। |
দলীয় সূত্রেরই খবর, ২০১১ সালে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে শেষবার সিপিএমের তরফে প্রকাশ্য সভা করা হয়। এর পরে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে পাহাড়ে দলের তরফে আর কোনও সভা করা হয়নি।
এ দিন সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতা জানান, সেই অন্তর্ভুক্তি হলে কেন্দ্রের বাজেট বরাদ্দের ১০ শতাংশ উন্নয়ন খাতে পাওয়া যায়। তবে সেই সঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের দিকেই কার্যত এই দাবি রূপায়ণের দায়িত্ব ঠেলে দিয়েছেন তিনি। এ দিন বক্তৃতায় তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্য দেশের মোট বাজেট বরাদ্দের ১০ শতাংশ উন্নয়ন খাতে পেয়ে থাকে। কিন্তু দার্জিলিং এই সুযোগ পায় না। স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। সংসদের আগামী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও এই দাবি সমর্থন করতে বলেছি। যদিও তাদের থেকে কোনও উত্তর পাইনি। এই দাবি নিয়েও তারা সরব হয়নি।”
ইয়েচুরির সংযোজন, “রাজ্য সরকারের উচিত দার্জিলিঙের উন্নয়নের স্বার্থে উত্তর-পূর্ব রাজ্য কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সেটা না করলে, আমরাই এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ওই দাবিতে রাজ্য-কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি কব।”
যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির আহ্বায়ক গৌতম দেব বলেন, “এতদিন সিপিএম পাহাড়ে যায়নি কেন? ওরা আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশয় দিচ্ছে। তৃণমূল এর প্রতিরোধ করবে।”
গৌতমবাবুর দাবি, “আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সিপিএম এ সব কথা বলছে। তবে আগামী নির্বাচনে সিপিএমকে দার্জিলিঙে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন।” গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে অবশ্য এ দিন সিপিএমের কনভেনশন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। |