বধূ নির্যাতন, ধর্ষণ- সহ মহিলাদের বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া খাতড়া আদালতে পুনরায় চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করলেন খাতড়া আদালতের আইনজীবীরা। এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল খাতড়া অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশন। কর্মবিরতির জেরে এ দিন আদালতে কোনও কাজ হয়নি। খাতড়া অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ধরণীধর পাঠক বলেন, “আগে মহিলা অপরাধ সংক্রান্ত প্রায় সব অভিযোগের বিচার খাতড়া আদালতে হত। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে এইসব মামলার বিচার বাঁকুড়া আদালতে হচ্ছে। এর ফলে মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন।” বারিকুল, সারেঙ্গা, রাইপুর, রানিবাঁধ থানার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ আগে খাতড়া আদালতে এসে অভিযোগ দায়ের করতে পারতেন। এখন নিতান্ত বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ওইসব এলাকার মানুষকে জেলা সদর বাঁকুড়ায় ছুটতে হচ্ছে। এতে সময়, অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি হয়রানও হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। খাতড়া অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মসমিতির সদস্য চঞ্চল রায়ের দাবি, “কর্মবিরতিতে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হলেও বৃহত্তর স্বার্থেই আইনজীবীরা এটা করতে বাধ্য হয়েছেন।”
|
‘লোকায়ত সংস্কৃতি ও উন্নয়ন ভাবনা’কে এ বারের বিষ্ণুপুর মেলার থিম করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে একথা ঘোষণা করল বিষ্ণুপুর মেলা কমিটি। ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধযায়, বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী ও বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক পলাশ সেনগুপ্ত প্রমুখ। শ্যামবাবু বলেন, “এ বারের মেলায় বাঁকুড়া ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্প ও লোক সংস্কৃতির দলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাজেট ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। ১৮৮টি স্টল থাকছে। তিনটি মঞ্চে চলবে নানা অনুষ্ঠান।” এ রাজ্যের পাশাপাশি অসম, ওড়িশা, ছত্তিসগঢ়ের লোকশিল্পীরা মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারত সরকারের জাতীয় মেলা হিসাবে স্বীকৃত বিষ্ণুপুর মেলা চলবে ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। |