এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুললেন ওই মহিলার বাবা। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার কাঁকড়াসুতি গ্রামে মঙ্গলবার মৃত ওই গৃহবধূর নাম ফতিমা বিবি (১৮)। ঘটনার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতার স্বামী বাপন মণ্ডল, শ্বশুর আর্শাদ আলি মণ্ডল এবং শাশুড়ি সুফিয়া বিবির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক বছর আগে বাদুড়িয়ার কাঁকড়াসুতি গ্রামের পূর্বপাড়ার
|
ফতিমা বিবি। |
বাসিন্দা ফতিমার সঙ্গে ওই গ্রামেরই নাবালপাড়ার বাসিন্দা বাপনের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস চারেক আগে বাপন ফতিমাকে নিয়ে আন্দামান চলে যান। সেখানে তাঁরা বিয়ে করে বসবাস শুরু করেন। মাস খানেক আগে তাঁরা ফিরে আসেন গ্রামে। কিন্তু ফতিমাকে ছেলের বউ হিসাবে মেনে নিতে পারেননি বাপনের বাবা-মা। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। বাড়িতে থাকতে হলে আলাদা ঘর করে বউকে নিয়ে থাকতে হবে বলে বাপনকে জানিয়ে দেন তাঁর বাবা-মা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর তৈরির জন্য বাপন স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা আনতে বলে। কিন্তু ফতিমা জানান তাঁর বাবা গরিব। তাঁর পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এতে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। শুরু হয় ফতিমাকে মারধর। ফতিমা বিবির বাবা এমাদুল হকের দাবি, “এ নিয়ে কয়েকবার আলোচনা হলেও জামাই বা তার বাবা-মা এক লাখ টাকার দাবি থেকে সরেনি। উল্টে টাকা দিতে পারব না বলায় মেয়ের উপরে অকথ্য অত্যাচার করত ওরা। সালিশি সভা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।”
পুলিশের বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালে টাকা চাওয়া নিয়ে ফের অশান্তির শুরু। ফতিমাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুপুর দেড়টা নাগাদ ফতিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান বিষ খাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ফতিমা। পরে রাত দেড়টা নাগাদ তিনি মারা যান। মেয়ের মৃত্যুতে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযুক্তরা পলাতক।তাদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ। |