|
|
|
|
প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠান দুই জেলায় |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুই মেদিনীপুরেই নানা অনুষ্ঠান হল সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সমাজ কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এ দিন সকালে জেলাশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় পুরসভার সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে আসে। সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে জেলার বিভিন্ন হোম থেকে আসা মানসিক প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিবির হয়। ওই শিবিরে মানসিক প্রতিবন্ধকতাও চিহ্নিতকরণ হয়। প্রতিবন্ধীদের তৈরি কাপড়, পাট, খড়ের বিভিন্ন শিল্পসামগ্রী ও দৈনন্দিন ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনী হয় সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে। প্রতিবন্ধীরা নাচ, গান-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেলার সাত জন কৃতী প্রতিবন্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধীকে সমাজ কল্যাণ দফতরের তরফে সেলাই মেশিন, শ্রবণযন্ত্র ও আইপড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলা পরিষদের শিশু নারী কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য, জেলা গ্রামোন্নয়ন শাখার প্রকল্প অধিকর্তা শঙ্কর পাল প্রমুখ। |
|
তমলুকে পদযাত্রায় হাঁটলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনই ঝাড়গ্রামের দেবেন্দ্র মোহন মঞ্চে অনুষ্ঠান করে ‘নিউ প্রতিবন্ধী সঙ্ঘ’। দুপুরে ওই সংগঠনের উদ্যোগে মহকুমার প্রায় এক হাজার প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি পদযাত্রা শহর পরিক্রমা করে দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে পৌঁছয়। সেখানে প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও সমস্যা নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনাচক্রে অংশ নেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রামের ভাবী পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত রায় প্রমুখ। নিউ প্রতিবন্ধী সঙ্ঘের সম্পাদক অমৃত হালদার বলেন, “কেবলমাত্র ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধীরাই সরকারি ভাতা পান। আমাদের দাবি, ৪০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেই তাদের সরকারি ভাতার আওতায় আনা হোক। অথবা প্রতিবন্ধীদের শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা হোক।” সংগঠনের তরফে প্রতিবন্ধীদের ২০ দফা দাবি নিয়ে এ দিন জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অমৃতবাবুরা। |
|
|
|
|
|